সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে আইপিএলের বাইশ গজে নেমে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন! এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি।
মার্কিন মুলুকে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের ‘খুনে’র ঘটনায় উত্তাল হয়েছে গোটা বিশ্ব। ঘটনার প্রতিবাদে সরব ক্রীড়া দুনিয়া। কৃষ্ণাঙ্গ ‘হত্যা’র নিন্দা করতে গিয়ে ক্যারিবিয়ান তারকা ক্রিস গেইল জানিয়েছিলেন, শুধু ফুটবলারই নয়, ক্রিকেটারদেরও বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয়। দুনিয়ার সমস্ত প্রান্তে ছবিটা একইরকম। অসহনীয় অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ্যে আনেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ডোড্ডা গণেশও। জানিয়েছিলেন, গায়ের রঙের জন্য কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে তাঁকেও। এবার ক্ষোভ উগরে দিলেন স্যামি। জানালেন, আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলার সময় গ্যালারি থেকে ভেসে আসত বর্ণবিদ্বেষমূলক শব্দ-মন্তব্য। তবে তিনি একা নয়, শ্রীলঙ্কান তারকা থিসারা পেরেরাও কটাক্ষের শিকার হতেন। মূলত হিন্দি ভাষায় কটাক্ষ করায় সেই শব্দের সঠিক মানে বুঝতে পারতেন না তাঁরা। তবে শনিবার তার অর্থ জানতে পেরেছেন স্যামি। আর তারপরই মেজাজ হারান তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, খেলার মাঠে তাঁকে তাক করে উড়ে আসত ‘কালু’ শব্দটি। প্রথমে তিনি ভাবতেন, হয়তো শক্তিশালী কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে তাঁকে এমনটা বলা হয়। অর্থাৎ তিনি বুঝতেও পারতেন না যে তাঁকে কটাক্ষ করা হচ্ছে। তাই কখনও প্রতিক্রিয়াও দেননি। তবে শনিবার জানতে পারেন, আসলে তাঁকে ও পেরেরাকে ‘খাটো’ করার জন্যই এমন বর্ণবৈষম্যমূলক শব্দের ব্যবহার করা হত। সত্যিটা জেনে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ তিনি।
বর্ণবৈষম্য নিয়ে আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সুর চড়িয়েছিলেন স্যামি। এমনকী আইসিসিকেও এর বিরুদ্ধে সরব হওয়ার আরজি জানান। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে আমেরিকার ঘটনার প্রতিবাদ করতে গত বছরের বিশ্বকাপের একটি ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করেছিল বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। যেখানে দেখা যায়, চরম উত্তেজনার সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের বল করছেন বার্বেডোজজাত হোফ্রা আর্চার। সঙ্গে আইসিসি লেখে, ‘বৈচিত্র ছাড়া ক্রিকেট ভাবা যায় না।’ এবার নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন ক্ষুব্ধ স্যামি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.