সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাকতালীয়! ২০১৮ ফুটবল বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স দলের সঙ্গে অদ্ভুত মিল এবারের ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বিশ্বকাপ দলের। কী সেই মিল? দেখা যাচ্ছে, ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল আর ফ্রান্সের বিশ্বকাপ দলের গঠন অনেকটা একই। দুটি দলেই অন্যান্য দেশের বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়ের সংখ্যা বেশি। ২০১৮ বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স দলে যেমন সিংহভাগ বিদেশি বংশোদ্ভূত বা জন্মসূত্রে বিদেশি ফুটবলার ছিলেন, তেমনি এবারের ইংল্যান্ড দলেও একাধিক বিদেশি বংশোদ্ভূত বা জন্মসূত্রে বিদেশি ক্রিকেটার রয়েছেন।
২০১৮ ফুটবল বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স দলের অধিকাংশ তারকা ছিলেন বিদেশি। এক্কেবারে প্রথম সারির তারকা পল পোগবা, কিলিয়ান এমবাপে, সামুয়েল উমতিতি, অলিভার জিরু, মাতুইদি, এনগোলো কন্তেরা কেউই ফরাসি নন। পল পোগবার জন্ম ফ্রান্সে হলেও তাঁর বাবা-মা ছিলেন গিনির বাসিন্দা। এমবাপের মা আলজেরিয়ার, বাবা ক্যামেরুনের। ডিফেন্ডার সামুয়েল উমতিতি জন্মেছেন ক্যামেরুনে। দ্বিতীয় গোলকিপার স্টিভ মন্দানা ছিলেন কঙ্গোর বাসিন্দা। মাতুইদির বাবা ছিলেন কঙ্গোর বাসিন্দা। কন্তের বাবা-মা ছিলেন মালির বাসিন্দা। এছাড়াও দলের একাধিক তারকা বিদেশি বংশোদ্ভূত।
এবার চোখ বোলানো যাক ব্রিটিশদের টিমে। এবারের ইংল্যান্ডের অধিনায়ক খোদ ইয়ন মর্গ্যান আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা। মইন আলি এবং আদিল রশিদের জন্ম ব্রিটেনে হলেও তাঁরা আসলে বাংলাদেশ ও পাক বংশোদ্ভূত। জেসন রয় জন্মসূত্রে দক্ষিণ আফ্রিকার, টম কুরানের জন্মও দক্ষিণ আফ্রিকার। দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য অল রাউন্ডার বেন স্টোকস আসলে নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দা। হোফ্রা আর্চার জন্মসূত্রে ক্যারিবিয়ান। বিশ্বকাপ শুরুর আগে ইংল্যান্ডের এই দলটিকে বিশ্ব একাদশ বলে কটাক্ষ করেছিলেন কিংবদন্তী সুনীল গাভাসকর। ঠিক একই রকম কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল ফ্রান্সকেও। অনেকেই ফ্রান্স দলটিকে বলছিলেন আফ্রিকা একাদশ। দুই দলে এই বিদেশিদের আধিক্য আলাদা মাত্রা রাখে। কিছু কুসংস্কারে বিশ্বাসী ইংল্যান্ড সমর্থকের ধারণা ফ্রান্সের সঙ্গে এই মিল কাকতালীয় হলেও ফ্রান্সের মতোই ইংল্যান্ডও এবার বিশ্বজয়ী হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.