সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালের পর দু’দিন কেটে গিয়েছে। তাতেও বিতর্কের রেশ থামেনি। রবিবাসরীয় ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ শেষে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু’দলের ক্রিকেটাররা। যে ভিডিও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ছড়াতেই ক্রিকেটবিশ্বে ঝড় উঠেছিল। ভিডিওতে ধরা পড়ে দু’দলের ক্রিকেটার একে অপরকে ধাক্কা মারছেন। আম্পায়াররা চেষ্টা করছেন দু’দলকে শান্ত করতে। তাতেও যশস্বী-শরিফুলরা তেড়ে যাচ্ছেন একে অপরের দিকে। সেই ছবি দেখে অবশেষে পদক্ষেপ করল আইসিসি (International Cricket Council)। দুই দলের মোট পাঁচ ক্রিকেটারকে শাস্তি দিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা।
আইসিসির তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের আচরণের খেলার মাঠে কোনও স্থান নেই। আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার জিওফ অ্যালাড্রাইস বলেন, “সম্মান ক্রিকেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আর ক্রিকেটারদের কাছ থেকে আরও বেশি অনুশাসন প্রত্যাশা করা হয়। ক্রিকেটারদের উচিৎ বিপক্ষকে তাঁদের সাফল্যের জন্য শুভেচ্ছা জানানো এবং নিজেদের সাফল্য উপভোগ করা।” তিন বাংলাদেশি ক্রিকেটার তৌহিদ হৃদয়, শামিম হোসেন এবং রাকিবুল হাসানকে ৬ ডিমেরিট পয়েন্ট শাস্তি হিসেবে দেওয়া হয়েছে। ভারতের দুই তারকা রবি বিষ্ণোই এবং আকাশ সিংকে ৫ ডেমেরিট পয়েন্ট শাস্তি হিসেবে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে আবার এই ধরনের ঘটনা ঘটলে নির্বাসনের মতো শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে তাঁদের।
রবিবারের ফাইনালে দুই প্রতিবেশীর লড়াইয়ে গোটা ম্যাচ জুড়ে চলতে থাকে স্লেজিং। বাংলাদেশের পেসার শরিফুল ইসলাম যেমন প্রতিনিয়ত যশস্বীদের স্লেজ করতে থাকেন। এমনকী ব্যাটসম্যানরা আউট হওয়ার পর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দিতেও দেখা যায় শরিফুলকে। ঠিক তেমনই বাংলাদেশ ব্যাট করার সময়েও রবি বিষ্ণোই ও আকাশ সিংরা উত্ত্যক্ত করেন ব্যাটসম্যানদের। প্রতিটা ডেলিভারির পরই আম্পায়ারের কাছে অ্যাপিল করেন ভারতীয় বোলাররা। অহেতুক ঘনঘন অ্যাপিলের জন্য আম্পায়াররা সতর্কও করেন আকাশদের। গোটা ম্যাচ জুড়ে তাই চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়। যা ফাইনালের পর দাবানলের আকার নেয়। তবে ঘটনার জন্য দায়ী কে সেই ব্যাপারটা এখনও পরিষ্কার নয়। ভারতীয় শিবিরের যেমন দাবি রাকিবুল উইনিং সিঙ্গলস নেওয়ার সময় নাকি টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে মাঠের ধারে দাঁড়ানো শরিফুল ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে অকথ্য গালিগালাজ করছেন। তা ছাড়াও বল করার সময় প্রতি মুহূর্তে খারাপ মন্তব্য করে ব্যাটসম্যানদের রাগানোর চেষ্টা করেন। ম্যাচ শেষেও তখন মাঠে নেমে নাকি বন্য উল্লাসে বাংলাদেশিদের শরীরীভাষা ছিল আগ্রাসী। যাঁরা টিটকিরি দেয় ভারতীয়দের। এই সমস্ত কারণের জন্যই শেষমেশ মেজাজ হারায় ভারতীয়রা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.