সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এভাবেও ফিরে আসা যায়… ঋষভ পন্থের জন্য এই বহুচর্চিত লাইনটা যেন ক্লিশে হয়ে গিয়েছে। গাড়ি দুর্ঘটনার পর যে ফরম্যাটের ক্রিকেটেই ফিরেছেন, সেখানেই দাপট দেখিয়েছেন। আইপিএল খেলেছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছেন। এবার টেস্ট ক্রিকেটেও অব্যাহত ঋষভ পন্থের জয়যাত্রা। দ্বিতীয় ইনিংসে অসামান্য সেঞ্চুরি বুঝিয়ে দিলেন লাল বলের ক্রিকেটই তাঁর আসল জায়গা।
পন্থ নিজেও স্বীকার করছেন সেকথা। তবে তাঁর সঙ্গে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছেন তিনি। প্রথম ইনিংসেই ইঙ্গিত ছিল পন্থঝড়ের। ভালো শুরু করেও মাত্র ৩৯ রানে থেমে গিয়েছিল ইনিংস। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে যে ঝড় তুললেন তিনি, তাতে একেবারে দিশেহারা হয়ে যায় বাংলাদেশের বোলিং। ১২৮ বলে ১০৯ রান করে যখন আউট হন, ততক্ষণে ম্যাচের ভাগ্য একপ্রকার ঠিক হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন শুভমান গিল।
ম্যাচের পর পন্থ বলছেন, “এই সেঞ্চুরিটা আমার কাছে স্পেশাল। কারণ চেন্নাইয়ে খেলতে আমি খুব ভালোবাসি। চোটের পর আমি চেয়েছিলাম সব ফরম্যাটের ক্রিকেট খেলতে। তার পর এটাই আমার প্রথম টেস্ট। আশা করছি সামনে আরও ভালো খেলব।” সেই সঙ্গে ঋষভ বলছেন, “এই সেঞ্চুরিটা করে একটু আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলাম। প্রতি ম্যাচেই বড় রান করতে চাই। কিন্তু সেটা তো সম্ভব হয় না। তবে টেস্টে আমি ভালো খেলতে চাই। কারণ আমি মনে করি, এটাই আমার আসল জায়গা।”
দ্বিতীয় ইনিংসে যখন ব্যাট করতে এসেছিলেন, তখনও ভারতের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। সেখান থেকে কীভাবে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিলেন পন্থ ও গিল? ভারতের উইকেটকিপার বলছেন, “আমি জানি না বাইরের লোকে কী বলে? আমি চেষ্টা করেছি ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝতে। ৩০ রানে ৩ উইকেট পড়ে গেলে পার্টনারশিপ গড়তে হয়। আমি আর গিল সেটাই করেছি। সেটাও স্পেশাল। কারণ গিলের সঙ্গেও আমার সম্পর্ক খুবই ভালো।” বাংলাদেশ সিরিজের পর একের পর এক টেস্ট ম্যাচ আছে। বছর শেষে অস্ট্রেলিয়া সফর। পন্থের কামব্যাক চিন্তায় রাখবে তাদেরও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.