সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মুতে পাক হামলার জেরে মাঝপথেই দিল্লি-পাঞ্জাব ম্যাচকে বাতিল ঘোষণা করা হয়। পাঞ্জাবের একাধিক এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাক সেনা। ব্ল্যাকআউট করে দেওয়া হয় সে রাজ্যের একাধিক জেলা। আর তার মধ্যেই আলো নিভে যায় ধরমশালা স্টেডিয়ামেরও। মাঠভর্তি দর্শক এবং আইপিএল আধিকারিকদেরও চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরেই দর্শকদের অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে স্টেডিয়াম থেকে বের করা হয়। দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা এগিয়ে আসেন।
এক সমর্থক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পাঞ্জাব অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার মাঠে ঢোকার সময়ই উত্তর-পূর্ব দিকের ফ্লাডলাইটটি প্রথমে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁর কথায়, “শ্রেয়স আইয়ার মাঠে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর-পূর্বের ফ্লাডলাইট নিভে যায়। এরপর পূর্ব দিকের ফ্লাডলাইটও নিভে যায়। দ্বিতীয় ফ্লাডলাইট নিভে যাওয়ার পরে ক্রিকেটারদের মাঠ ছেড়ে বেরোতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীরা আমাদেরও আতঙ্কিত না হয়ে চলে যেতে বলেন। তখনও কিন্তু বুঝতে পারিনি ম্যাচটা বাতিল।”
ওই সমর্থকের সংযোজন, “মাঠ থেকে বেরোনোর সময় কোনও সমস্যা হয়নি। স্টেডিয়ামের চারপাশে যথাযথ আলোর ব্যবস্থা ছিল। কোনও আতঙ্ক ছিল না। ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’ স্লোগান দিচ্ছিলেন বহু। স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে বন্ধুদের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ওরা অন্য স্ট্যান্ডে ছিল। ওদেরও মাঠ থেকে বেরিয়ে আসতে কোনও সমস্যা হয়নি। নিরাপত্তারক্ষীরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পুরো বিষয়টি সামাল দিয়েছিলেন। রাস্তায় সশস্ত্র সেনাদেরও দেখতে পাই।”
ম্যাচের বয়স যখন ১০.১ ওভার, ঠিক তখনই একে একে নিভে যায় ফ্লাডলাইট। এক উইকেটে পাঞ্জাবের স্কোর তখন ১২২ রান। কিন্তু সেখানেই খেলা বাতিল হয়ে যায়। পুরো ম্যাচ উপভোগ করতে না পারায় ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’ ধ্বনিও তোলেন দর্শকদের একাংশ। এদিকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ভারতীয় বোর্ডের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এলাকায় ব্ল্যাকআউটের জন্যই ম্যাচ মাঝপথে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.