অস্ট্রেলিয়া- ৩০০ অলআউট (স্মিথ ১১১, ম্যাথু ওয়েড ৫৭, কুলদীপ যাদব ৬৮/৪)
ভারত- ১ ওভারে ০/০ (কে এল রাহুল ০, মুরলি বিজয় ০)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরাট কোহলি নেই, উল্টোদিকে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের শতরান। তবুও ধরমশালা টেস্টের প্রথম দিনের শেষে কিছুটা হলেও যেন স্বস্তিতে ভারত। সৌজন্যে বাঁ-হাতি চায়নাম্যান বোলার কুলদীপ যাদব। শনিবার টেস্ট অভিষেকেই চার উইকেট নিয়ে চমকে দিয়েছেন লেগস্পিনারটি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন উমেশ যাদব-সহ অন্যান্য ভারতীয় বোলাররা। আর সেকারণেই ৩০০ রানেই শেষ হল অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস। জবাবে মাত্র ১ ওভার ব্যাট করেছে ভারত। তবে কোনও রান যোগ হয়নি ভারতের স্কোরবোর্ডে। ক্রিজে রয়েছেন কে এল রাহুল এবং মুরলি বিজয়।
এদিন কাঁধে চোট থাকায় দলে ছিলেন না বিরাট কোহলি। তাঁর জায়গায় টস করতে আসেন অজিঙ্ক রাহানে। তবে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেন অজি অধিনায়ক স্মিথ। ম্যাচের শুরুতেই অজি ওপেনার ম্যাথু রেনশকে দুর্দান্ত বলে বোল্ড করেন উমেশ। কিন্তু এরপরেই দ্বিতীয় উইকেটে ভারতীয় বোলারদের সামনে পাঁচিল তুলে দেন ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ। তবে ম্যাচের শুরুতেই ওয়ার্নারের ক্যাচ না ফেললে সেই সুযোগটি পেতেন না অজি ব্যাটসম্যানরা। দু’জনে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ১২৪ রান যোগ করেন। কিন্তু এরপরেই শুরু হয় কুলদীপ যাদবের জাদু। ব্যক্তিগত ৫৬ রানে তাঁর বলেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওয়ার্নার। এরপর শন মার্শ (৪) কে আউট করেন উমেশ। উল্টোদিকে পিটার হ্যান্ডসকম্ব (৮) এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে (৮) ফেরত পাঠান কুলদীপ।
এদিকে, ১৪টি চারের সাহায্যে ১১১ রান করেন অজি অধিনায়ক স্মিথ। সিরিজে এটি তাঁর তিন নম্বর শতরান। তাঁকে আউট করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। স্মিথ আউট হওয়ার পর বাকি ব্যাটসম্যানদের নিয়ে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন অজি উইকেট-কিপার ব্যাটসম্যান ম্যাথু ওয়েড। তিনি ব্যক্তিগত ৫৭ রানে রবীন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড হয়ে যান। এরপরে ৩০০ রানেই শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। এরপরে মাত্র এক ওভারই ব্যাট করার সুযোগ পায় ভারত। তবে স্কোরবোর্ডে কোনও রান যোগ করতে পারেননি রাহুল-বিজয় জুটি।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে এদিন সবচেয়ে সফল কুলদীপ যাদব। ২৩ ওভার বল করে ৬৮ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া উমেশ দু’টি, ভুবনেশ্বর কুমার, জাদেজা ও অশ্বিন একটি করে উইকেট পান। ম্যাচ শেষে কুলদীপ বলেন, ‘আমি খুব খুশি। আজ আমার স্বপ্ন সফল হয়েছে। টেস্ট ম্যাচের ক্ষেত্রে এর থেকে বেশি ভাল অভিষেক হতে পারে না। প্রথম ওভারে একটু টেনশন হচ্ছিল। পরবর্তীকালে সেটা ঠিক হয়ে যায়। আমাকে নিজের ফিটনেস নিয়েও অনেক খাটতে হয়েছে। যা আমার বোলিংকে উন্নত করতে সাহায্য করেছে।’ পিচ সম্পর্কে কুলদীপ জানান, ‘পিচ কিছুটা হলেও ব্যাটসম্যান সহায়ক। বল তেমন ঘুরছে না। তবে স্পিনাররা সাহায্য পাবে। আমি নিয়ন্ত্রিত বোলিং করারই চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি নিজের বোলিংয়েও নানাভাবে বৈচিত্র আনার চেষ্টা করেছি। এভাবেই হ্যান্ডসকম্বের উইকেটটি পেয়েছি।’
এখন দেখার বিরাটের অনুপস্থিতিতে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা কীভাবে সামলান অজি বোলারদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.