দেবাশিস সেন, সাউদাম্পটন: শিখর ধাওয়ান, ভুবনেশ্বর কুমার, বিজয় শংকর, ঋষভ পন্থ, বিরাট কোহলিদের নিয়ে আলোচনার মধ্যে কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছেন মানুষটি। যাঁর দৌলতেই ভারতের প্রতিটি জয় চলে আসছে হাতের মুঠোয়। যিনি চলতি বিশ্বকাপে মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেই তিনশো রানের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছেন। তিনি রোহিত শর্মা। ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ রেকর্ড ঝুলিতে ভরেছেন তিনি। শনিবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ফের রেকর্ডের হাতছানি ভারতীয় দলের হিটম্যানের সামনে।
আইসিসি টুর্নামেন্ট মানেই অনবদ্য রোহিত। ২০১১ সাল থেকেই তার সাক্ষী থেকেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই চলতি টুর্নামেন্টে জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেলেছেন টিম ইন্ডিয়ার সহ-অধিনায়ক। শনিবারই মহেন্দ্রি সিং ধোনির অনন্য রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলতে পারেন তিনি। কী সেই রেকর্ড? আন্তর্জাতিক ওয়ানডে-তে সবচেয়ে বেশি ছক্কার মালিক মাহি (২২৫)। সেখানে রোহিত পিছিয়ে মাত্র একটিতে (২২৪)। অর্থাৎ রশিদ খানদের বিরুদ্ধে একটি ওভার বাউন্ডারি মারলেই নয়া মাইলফলক স্পর্শ করবেন রোহিত। আর একের বেশি ছক্কা হাঁকাতে পারলে এই তালিকায় ভারতীয়দের মধ্যে শীর্ষস্থানটি দখল করবেন তিনি। বিশ্বক্রিকেটে অবশ্য এই তালিকার এক নম্বরে প্রাক্তন পাক তারকা শাহিদ আফ্রিদি (৩৫১)। তাঁর পরই রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল (৩১৮)। তবে বলে রাখা ভাল, এদিন আফগানদের বিরুদ্ধে কিন্তু দলে ধোনিও রয়েছেন। তাই জমে উঠতে পারে ছক্কা হাঁকানোর প্রতিযোগিতা।
এদিকে, এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে বিরাটের সেঞ্চুরি দেখা যায়নি। তবে আফগিস্তানের বিরুদ্ধে সে শতরান হাঁকালেই রেকর্ড বুকে নাম লেখাবেন ক্যাপ্টেন কোহলিও। ১০৪ রান করলেই দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০ হাজার রানের মালিক হয়ে যাবেন তিনি। টপকে যাবেন শচীন তেণ্ডুলকর এবং ব্রায়ান লারাকে। তবে বিরাটকে আটকে দিতে বদ্ধপরিকর আফগান পেসার রশিদ খান।
‘সংবাদ প্রতিদিন’ ডিজিটালকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, গুড লেংথ বলই তাঁর হাতিয়ার। রশিদ ভালই জানেন লুজ বল পেলে রোহিত-কোহলি বোলারের কী হাল করেন। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে কোহলি-রোহিত, স্মিথ, উইলিয়ামসন, জো রুটদের মতো ব্যাটসম্যানদের বল করাই তাঁর বড় প্রাপ্তি। এখনও পর্যন্ত জয়ের মুখ না দেখলেও এত বড় টুর্নামেন্টে শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে নার্ভ শক্ত রেখে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতাই বা আফগানদের জন্য কম পাওনা কী। আর ভারতের বিরুদ্ধে জয়ের আশা? কোন ক্রিকেটার চায় না তাঁর দল জিতুক। রশিদও ব্যতিক্রমী নন। তবে তাঁর কথাতেই দু’দেশের মধ্যে বন্ধুতার সম্পর্ক স্পষ্ট। নাহলে ঈশ্বরের কাছে ভারতের জয় কামনা করেন তিনি? এখানেই জিতে যায় ক্রিকেট। অক্ষুণ্ণ থাকে ক্রিকেটীয় স্পিরিট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.