ইংল্যান্ড (প্রথম ইনিংস): ৪৮.৪ ওভারে ১১২/১০ (ক্রলি ৫৩, অক্ষর ৬/৩৮)
ভারত (প্রথম ইনিংস): ৫৩.২ ওভারে ১৪৫/১০ (রোহিত ৬৬, রুট ৫/৮)
ইংল্যান্ড (দ্বিতীয় ইনিংস): ৩০.৪ ওভারে ৮১/১০ (স্টোকস ২৫, অক্ষর ৫/৩২, অশ্বিন ৪/৪৮)
ভারত (দ্বিতীয় ইনিংস): ৭.৪ ওভারে ৪৯/০ (রোহিত ২৫*, শুভমান ১৫*)
ভারত দশ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরো দু’দিনও গড়াল না মোতেরার পিংক বল টেস্ট। দেড় দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে গেল ইংল্যান্ডের (England) যাবতীয় প্রতিরোধ। দিন-রাতের টেস্টে ভারতীয় স্পিনারদের ছোবলে কঙ্কাল বেরিয়ে পড়ল ইংল্যান্ডের পুরো ব্যাটিং লাইন আপের। উলটোদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৪৯ রান কোনও উইকেট না হারিয়ে তুলে নিল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। রোহিত অপরাজিত রইলেন ২৫ রানে এবং শুভমান ১৫। সেই সঙ্গে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত।
চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় টেস্টের পর থেকেই পিচ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। কিন্তু তারপরও আহমেদাবাদে ইংরেজদের হারাতে সেই স্পিন সহায়ক উইকেটই বেছে নেয় ‘টিম ইন্ডিয়া’। অক্ষর প্যাটেল এবং অশ্বিনের সৌজন্যে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ১১২ রানে বেঁধে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন বিরাটরা। কিন্তু একই হাল হয় ভারতেরও। দ্বিতীয় দিনের শুরতেই রোহিত দুরন্ত অর্ধ-শতরান করলেও ১৪৫ রানে গুটিয়ে যায় ভারতের প্রথম ইনিংস। এরপর ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। আবারও অক্ষর-অশ্বিনের দাপটে ৮১ রানেই গুটিয়ে যায় রুটদের দ্বিতীয় ইনিংস। জয়ের জন্য ভারতের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় মাত্র ৪৯ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৭.৪ ওভারেই বিনা উইকেটেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন ‘হিটম্যান’।
আধুনিক ক্রিকেটে বোলারদের শাসন করেন ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু গোলাপি টেস্টে এর উলটো ছবিই ধরা পড়ল। বোলাররাই চালকের আসনে, থুড়ি বলা ভাল স্পিনাররা। মোতেরায় দু’দলের স্পিনারদের দাপটে ব্যাটসম্যানরা এলেন আর গেলেন। ভারত প্রথম ইনিংসেই কেবল ৫৩ ওভার খেলতে সক্ষম হয়েছে। ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটসম্যানরা অক্ষর আর অশ্বিনের ঘূর্ণি সামলাতে না পেরে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করেছেন। এই টেস্টে হেরে সিরিজে ব্যাকফুটে চলে গেল ইংল্যান্ড।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.