কলকাতা নাইট রাইডার্স: ২০ ওভারে ১৯৪/৬ (রানা ৮১, নর্ৎজে ২/২৭)
দিল্লি ক্যাপিটালস: ২০ ওভারে ১৩৫/৯ (শ্রেয়স ৪৭, বরুণ ৫/২০)
কলকাতা নাইট রাইডার্স ৫৯ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দল দাঁড়িয়েছিল খাদের কিনারে। একটা হারে কার্যত বেজেই যেত বিদায়ঘণ্টা। শেষ চারে যাওয়ার লড়াইয়ে অন্যান্যদের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়তে হত। এই পরিস্থিতিতে মহাষ্টমীর সন্ধ্যায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের পরিত্রাতা হয়ে এলেন সুনীল নারিন এবং বরুণ চক্রবর্তী। দু’জনের কাছেই রহস্য স্পিনারের তকমা। তবে এদিন গোটা টুর্নামেন্টে দুরন্ত ফর্মে থাকা দিল্লিকে হারাতে একজন ব্যাট হাতে, অপরজন বল হাতে দুরন্ত পারফর্ম করলেন। নারিন করলেন ঝোড়ো ৬৪ রান। উলটোদিকে, একাই পাঁচ উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী। হ্যাঁ, একসময় ক্রিকেট ছেড়ে আর্কিটেক্ট বনে যাওয়া বরুণই বলতে গেলে কেকেআর ভক্তদের মুখে হাসি ফোটানোর কারিগর। কারণ ৫৯ রানে ম্যাচ জিতে প্লে–অফের দিকে আরও এক পা বাড়াল নাইটরা।
এদিন টস জিতে শুরুতেই কেকেআরকে ব্যাট করতে পাঠান দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়স। শুরুটাও রাবাডা–নর্ৎজেরাও করেছিলেন দুরন্তভাবে। শুরুতেই ফিরে যান গিল (৯)। এরপর দ্রুত ফিরে যান রাহুল ত্রিপাঠি (১৩) এবং দীনেশ কার্তিক (৩)। কার্তিক আউট হওয়ার সময় কেকেআরের রান ছিল তিন উইকেটে ৪২। এরপরই ইনিংসের হাল ধরেন ওপেন করতে নামা নীতীশ রানা এবং সুনীল নারিন। ঝোড়ো গতিতে রান তুলতে শুরু করেন নারিন। দু’জনে মিলে জুটিতে ৫৬ বলে ১১৫ রান যোগ করেন। শেষপর্যন্ত ৩২ বলে ৬৪ রান করে ফেরেন নারিন। মারেন ৬টি চার এবং চারটি ছয়। উল্টোদিকে, গোটা টুর্নামেন্টে রান না পাওয়া নীতীশ এদিন দুরন্ত খেললেন। করলেন ৫৩ বলে ৮১। মূলত এই দু’জনের ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছ’উইকেটে ১৯৪ রান তোলে কেকেআর।
১৯৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই দিল্লিকে জোড়া ধাক্কা দেন প্যাট কামিন্স। প্রথম বলেই আউট করেন রাহানেকে। এরপর ব্যক্তিগত ৬ রানের মাথায় কামিন্সের বলে বোল্ড হন গত দু’ম্যাচে পরপর শতরান করা শিখর ধাওয়ান। কিন্তু পালটা লড়াই শুরু করেন ঋষভ এবং শ্রেয়স। দু’জনে মিলে দ্রুত গতিতে রানও তুলতে থাকেন। কিন্তু ব্যাট হাতে যেমন নারিন নায়ক বনেছিলেন, বল হাতে দলকে একার হাতেই জয়ের দোরগোরায় পৌঁছে দিলেন আরেক স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। চার ওভার বোলিংয়ের প্রথম তিন ওভারেই তুলে নিলেন পাঁচটি উইকেট। এরমধ্যে একবার হ্যাটট্রিকের সুযোগও পেয়েছিলেন। নারিনের পর কেকেআরের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এক ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন বরুণ। শেষপর্যন্ত তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান ৪–০–২০–৫। অন্যদিকে, দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ রান শ্রেয়সের। ৩৮ বলে ৪৭ রান করেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.