চেন্নাই সুপার কিংস: ২০ ওভারে ১১৪/৯ (স্যাম কুরান ৫২, বোল্ট ৪/১৮)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১২.২ ওভারে ১১৬/০ (কিষান ৬৮*, চাহার ০/৩৪)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দশ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১২ বারের মধ্যে দশবারই প্লে–অফে। নির্বাসন থাকায় মাঝে দু’বছর বাদ। এই ১০ বারের মধ্যে আবার আটবারের ফাইনালিস্ট। তিনবারের চ্যাম্পিয়ন। এককথায় আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল। কিন্তু ২০২০ সালের আইপিএলে এ যেন অন্য চেন্নাই। না ফর্মে আছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, না ফর্মে আছে তাঁর দল।
মহাসপ্তমীর রাতে ক্রিকেটপ্রেমীরা বরং সাক্ষী থাকলেন মুম্বইয়ের দুই পেসারের তাণ্ডবের। একজন ট্রেন্ট বোল্ট। অন্যদিকে, জসপ্রীত বুমরাহ। বোল্ট নিলেন চার উইকেট। বুমরাহ পেলেন দু’উইকেট। আর হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়া রোহিতের অনুপস্থিতিতেই মুম্বই ১০ উইকেটে হারাল চেন্নাইকে। আইপিএলের ইতিহাসে প্রথমবার দশ উইকেটে হারল সুপার কিংস। ফলে প্লে–অফ থেকে কার্যত ছিটকেই গেলেন ধোনিরা।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়। বোল্ট–বুমরাহর সামনে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকেন ধোনিরা। প্রথম তিন রানেই চার উইকেট পড়ে যায়। এরপর দলের ২১ রানের মাথায় ফেরেন জাদেজা। ১৬ রান করে আউট হন ধোনিও। তখন চেন্নাইয়ের রান মাত্র ৩০। চাহারও ফিরে যান শূন্য রানে। এই সময় পালটা লড়াই শুরু করেন স্যাম কুরান। কার্যত একাই লড়াই করেন। ৪৭ বলে ৫২ রানের সৌজন্যেই চেন্নাইয়ের রান ১০০–র গণ্ডি পেরোয়।শেষদিকে কিছুটা সাহায্য করেন শার্দুল ঠাকুর (১১) এবং ইমরান তাহির (১৩*)। নির্ধারিত ২০ ওভারে চেন্নাইয়ের রান ওঠে ন’উইকেটে ১১৪ রান। বোল্ট ১৮ রান দিয়ে একাই নেন চার উইকেট। বুমরাহ এবং রাহুল চাহার নেন দু’টি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে রোহিতের অভাব একাই ঢেকে দেন ইশান কিষান। ডি’কক–কিষানের ওপেনিং জুটিই মুম্বইকে জয় এনে দেন। কিষান করেন অপরাজিত ৬৮ রান। তাও মাত্র ৩৭ বলে। মারেন পাঁচটি চার ও দু’টি ছয়। ডি’কক করেন অপরাজিত ৪৬ রান। শেষপর্যন্ত ১২.২ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় মুম্বই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.