সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার জেরে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে আইপিএল(IPL 2020)। বিসিসিআই এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি দিনরাত চেষ্টা করছে যদি কোনওভাবে মেগা টুর্নামেন্টের আয়োজন করা যায়। কিন্তু, এখনও কোনও আশার কথা বোর্ড শোনাতে পারেনি। খেলা হলেও, তা ফাঁকা স্টেডিয়ামে হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। এই পরিস্থিতিতে বিপুল লোকসানের মধ্যে পড়তে চলেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। কিন্তু, সেই লোকসান মেনে নিয়েও করোনা রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারই পক্ষে তাঁরা। এদিকে, করোনার জেরে নিজেদের সদর দপ্তর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল বোর্ড।
সোমবারই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর নিজেদের ট্রেনিং ক্যাম্প বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্রিকেটারদেরও বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরসিবি। এর আগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স(Mumbai ), চেন্নাই সুপার কিংস এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফ্র্যাঞ্জাইজির কর্তারা একপ্রকার ধরেই নিয়েছেন, এ বছর আইপিএল হচ্ছে না। বিরাট আর্থিক ক্ষতি হবে জেনেও জনস্বার্থে সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে রাজি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। এক ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্তা বলছেন, “এর ফলে আমাদের অন্তত ১৫-২০ কোটি টাকা লোকসান হবেই। শুধু ক্রিকেটারদের বেতন এবং অন্য কর্মীদের বেতন বাবদই এই লোকসান হবে। এছাড়াও স্পনসরশিপের টাকা বাবদ আরও অনেক টাকাই লোকসান হবে। কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি মানুষের সুরক্ষা থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়।” বোর্ড সূত্রের খবর, আইপিএল আয়োজন করা নিয়ে বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তারা। যদি বিদেশি ক্রিকেটাররা খেলার অনুমতি না পান, সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
বিসিসিআই সূত্রের খবর, ১৭ মার্চ থেকে মুম্বইয়ে বোর্ডের সদর দপ্তর বন্ধ রাখা হবে। কর্মীরা কাজ করবেন বাড়ি থেকে। যে করোনার জেরে আইপিএল বাতিল হয়েছে, সেই করোনার জেরেই এবার বোর্ডের কাজকর্মও বন্ধ হচ্ছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য এভাবেই কাজ হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে তবেই নতুন করে খোলা হবে দপ্তর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.