মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ২০ ওভারে ১৫৯/৯ (ক্রিস লিন ৪৯, সূর্যকুমার যাদব ৩১, হর্ষল প্যাটেল ৫/২৭)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: ২০ ওভারে ১৬০/৮ (এবিডি ৪৮, ম্যাক্সওয়েল ৩৯, বুমরাহ ২/২৬)
আরসিবি দু’উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহেই (Corona Pandemic) ফের দেশের মাটিতে ফিরল আইপিএল (IPL)। চেন্নাইয়ে দর্শকশূন্য চিপক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল সবচেয়ে বেশিবার আইপিএল জয়ী মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians) এবং একবারও এই টুর্নামেন্ট না জেতা বিরাট কোহলির (Virat Kohli) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (Royal Challengers Bangalore)। সেয়ানে সেয়ানে টক্করের ম্যাচে অবশ্য শেষ হাসি হাসলেন বিরাট কোহলিই। হর্ষলের দুরন্ত বোলিং এবং এবিডির দুরন্ত ব্যাটিংয়ে দু’উইকেটে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচটি জিতল RCB। ১৬০ রান তাড়া করতে নেমে অবশ্য জয়ের রান এল একেবারে শেষ বলেই। যা থেকে পরিষ্কার এবারও বেশ রুদ্ধশ্বাস লড়াই হতে চলেছে আইপিএলে।
শুক্রবার ম্যাচের শুরুতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বিরাট। যা নিয়ে আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ক্রিকেট ভক্তই মজাও করেন। কেউ কেউ মজার মিম শেয়ার করেন। কারণ বিরাটের টস ভাগ্য খুবই খারাপ। তবে মুম্বইয়ের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং ক্রিস লিন শুরুটা ভালই করেছিলেন। কিন্তু ১৯ রান করেই ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়ে যান রোহিত। এরপর লিন-সূর্যকুমার দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। দু’জনে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ৭০ রানও যোগ করেন।
একসময় মনে হচ্ছিল, মুম্বইয়ের রান হয়তো ১৮০ রান অতিক্রম করে যাবে। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা হয়নি। লিন-সূর্যকুমারের জুটি ভাঙতেই মুম্বইয়ের রানের গতি কমে যায়। ৩৫ বলে ৪৯ রান করে আউট হয়ে যান ক্রিস লিন। সূর্য আউট হন ৩১ রানে। এই সময় হর্ষল প্যাটেলের হাত ধরেই ম্যাচে ফেরে আরসিবি। চার ওভারে মাত্র ২৭ রান দিয়ে পাঁচটি উইকেট তুলে নেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রথম বোলার হিসেবে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেটে নেওয়ার নজিরও গড়েন। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৮ রানেই থামে মুম্বইয়ের ইনিংস। লিন-সূর্যকুমার আউট হওয়ার পর ঈশান কিষানই (২৮) কেবল রান পান দলের হয়ে। বাকিরা কেউই আর তেমন দাগ কাটতে পারেনি।
স্কোরবোর্ডে লক্ষ্যমাত্রা ১৫৯। ব্যাঙ্গালোরের ব্যাটিং লাইন আপে কোহলি, ম্যাক্সওয়েল, এবি ডি’ভিলিয়ার্সের মতো ব্যাটসম্যান রয়েছেন। কিছুটা হলেও অ্যাডভান্টেজ নিয়েই রান তাড়া করতে নামে আরসিবি। ফিল্ডিংয়ের সময় ডান চোখের নিচে আঘাত পেলেও ওয়াশিংটন সুন্দরের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন বিরাট। তবে সুন্দর (১০) কিংবা তিন নম্বরে নামা রজত পতিদার (৮) দ্রুত ফিরলেও বিরাট-ম্যাক্সওয়েল জুটি দ্রুতগতিতে রান তাড়া করতে থাকেন। একসময় মনে হচ্ছিল সহজেই বিরাটরা জিতে যাবেন। কিন্তু মাত্র দু’ওভারের ব্যবধানে আচমকাই ফিরে যান দু’জনেই। বিরাট আউট হন ৩৩ রান করে। জানসেনের ওভারে আবার আউট হয়ে যান ম্যাক্সওয়েল (৩৯) এবং শাহবাজ আহমেদ (১)। এই সময় রীতিমতো চাপেও পড়ে যায় আরসিবি। শেষপর্যন্ত রক্ষাকর্তা হয়ে দেখা দেন সেই এবি ডি’ভিলিয়ার্সই। কার্যত একার কাঁধেই আরসিবিকে আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে জয় এনে দিলেন তিনি। করলেন ৪৮ রান। তাও আবার মাত্র ২৭ বলে। যদিও দু’বল বাকি থাকতেই রান আউট হয়ে ফিরতে হয় তাঁকে। তবে তাতে আরসিবির জয় আটকায়নি। সেই হর্ষলই শেষ বলে দলের হয়ে জয়সূচক রানটি করেন।
এদিকে, ম্যাচ হারার পাশাপাশি হার্দিক পাণ্ডিয়ার চোটও কিন্তু এদিনের পর চিন্তায় রাখবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। কারণ এদিন এক ওভারও বোলিং করতে দেখা যায়নি হার্দিককে। ম্যাচ চলাকালীনই ডান হাতে চোট পান তিনি। তবে সেই চোট কতটা গুরুতর, সে ব্যাপারে মুম্বই শিবিরের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.