ছবি: বিসিসিআই
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিপকে ভেলকি দেখালেন নাইট বোলাররা। আগের ম্যাচে লখনউয়ের বিরুদ্ধে যাঁরা ২৩৮ রান দিয়েছিলেন, তারাই এদিন চেন্নাইকে আটকে দিলেন ১০৩ রানে। ঘূর্ণি পিচে বরুণ-নারিনদের সামনে কার্যত অসহায় দেখাল রুতুরাজ-হীন সিএসকে’কে। আগুন ছোটালেন হর্ষিত-বৈভবরাও। এদিন ফের নয় নম্বরে নামলেন ধোনি। নেতৃত্বে ফিরলেও দলের ব্যাটিং বিপর্যয় রুখতে পারলেন না তিনি। নিজেও আউট হলেন মাত্র এক রানে। আর চিপকে এত কম রান কখনই করেনি সিএসকে।
এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন নাইট অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। প্রথম একাদশে ছিল একটি বদল। অজি পেসার স্পেনসর জনসনের বদলে আসেন মইন আলি। আর বাড়তি স্পিনার খেলানোই মাস্টারস্ট্রোক হল নাইটদের জন্য। চেন্নাই ব্যাটিংয়ে ভাঙন ধরানোর কাজ শুরু করলেন মইনই। চতুর্থ ওভারে তিনি ফেরালেন ডেভন কনওয়েকে। পরের ওভারের শুরুতেই হর্ষিত রানা আউট করলেন রাচীন রবীন্দ্রকে।
এরপর বরুণ চক্রবর্তীর জালে বন্দি হলেন বিজয় শঙ্কর। অবশ্য অনেক আগেই আউট হতে পারতেন চেন্নাই ব্যাটার। তাঁর দুটো ক্যাচের সুযোগ হাতছাড়া করেন সুনীল নারিন ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার। তবে জীবনদানের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না তিনি। এরপর শুধুই যাওয়া-আসা। আরও ভালো করে বললে নাইট বোলারদের ফাঁদে আত্মসমর্পণ করা।
রাহুল ত্রিপাঠীকে নারিন ফেরাতে নামলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অর্থাৎ ধোনিকে দেখার জন্য ফের অপেক্ষা বাড়ল। অশ্বিন ফিরলেন ১ রানে। জাদেজা ও দীপক হুডাও পরপরই ফিরলেন। দুজনের স্কোরবোর্ডেই বিরাট শূন্য। অবশেষে নয় নম্বরে নামলেন ধোনি। আর এবারও সেই নারিনের ঘূর্ণিতে আউট হয়ে ফিরলেন। ৪ বলে সংগ্রহ মাত্র ১ রান। ৬৫ রানে ৪ উইকেট থেকে আচমকাই ৭৫ রানে ৮ উইকেট হয়ে গেল চেন্নাই। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৩ রানে থেমে গেল ধোনিদের ইনিংস। তারা যে অলআউট হল না, সেটার কৃতিত্ব একমাত্র শিবম দুবের। পায়ে চোট নিয়েও ২৯ বলে ৩১ রান করে যান। নাইটদের হয়ে ৩ উইকেট সুনীল নারিনের। দুটি করে উইকেট বরুণ চক্রবর্তী ও হর্ষিত রানার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.