ছবি: বিসিসিআই
চেন্নাই সুপার কিংস: ১০৩/৯ (শিবম ৩১, বিজয় ২৯, নারিন ১৩/৩)
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১০৭/২ (নারিন ৪৪, ডি’কক ২৩, নুর ৮/১)
৮ উইকেটে জয়ী কেকেআর।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেতৃত্বে ফিরলেন, দেখলেন, কিন্তু জয়ে ফেরা হল না মহেন্দ্র সিং ধোনির। শুধু জয়ে ফেরা হল না বললে বোধহয় কিছুই বলা হয় না। নাইট রাইডার্সের কাছে কার্যত পর্যুদস্ত হল চেন্নাই সুপার কিংস। রাহানেদের কাছে ৮ উইকেটে হারল সিএসকে। তাও ৯ ওভার বাকি থাকতেই। প্রথমে চিপকের মাঠে সবচেয়ে কম রান করার লজ্জার নজির গড়ল তারা। তারপর অনায়াসে ম্যাচ ছিনিয়ে গেল কেকেআর। আর দুই ইনিংসেই নায়কের নাম সুনীল নারিন। লখনউ ম্যাচের ধাক্কা সামলে জয়ের সরণিতে ফিরল নাইটরা। লিগ টেবিলে উঠে এল তিন নম্বরে।
এদিন চিপকে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন নাইট অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। প্রথম একাদশে মইন আলিকে খেলানো মাস্টারস্ট্রোক হল নাইটদের জন্য। মইন ফেরালেন ডেভন কনওয়েকে (১২)। পরের ওভারের শুরুতেই হর্ষিত রানা আউট করেন রাচীন রবীন্দ্রকে (৪)। বরুণ চক্রবর্তীর জালে বন্দি হলেন বিজয় শঙ্কর (২৯)। এবার শিকার শুরু করলেন নারিন। প্রথমে ফেরালেন রাহুল ত্রিপাঠীকে (১৬)। তারপর নিলেন জাদেজার (০) উইকেট। অন্যদিকে অশ্বিনকে (১) ফেরালেন হর্ষিত রানা। দীপক হুডা রানের খাতা না খুলেই ফিরে গেলেন। অবশেষে নয় নম্বরে এলেন ধোনি। আর এবারও সেই নারিনের ঘূর্ণিতে আউট হয়ে ফিরলেন। ৪ বলে সংগ্রহ মাত্র ১ রান। ৬৫ রানে ৪ উইকেট থেকে আচমকাই ৭৫ রানে ৮ উইকেট হয়ে গেল চেন্নাই। শেষ পর্যন্ত শিবম দুবের ৩১ রানের সুবাদে মাত্র ১০৩ রান করে চেন্নাই। নাইটদের হয়ে ৩ উইকেট সুনীল নারিনের। দুটি করে উইকেট বরুণ চক্রবর্তী ও হর্ষিত রানার।
চিপকে নারিন-বরুণরা যেভাবে ভেলকি দেখালেন, তাতে একই রকম প্রত্যাশা তৈরি হতে পারত নুর-জাদেজা-অশ্বিনদের নিয়ে। ম্যাচ জেতা না হোক, অন্তত প্রতিরোধ দেখা যেতেই পারত। কিন্তু কোথায় কী? প্রথম ওভারের শেষ থেকেই ঘুরতে শুরু করল নারিন-চক্র। খলিল আহমেদের শেষ বলে ছক্কা দিয়ে শুরু। তারপর অশ্বিনের এক ওভারেও দুটি ছয় হাঁকালেন। নারিনের তাণ্ডব দেখে মনে হল না এই পিচে কোনও বিপদ আছে। যোগ্য সঙ্গ দিলেন কুইন্টন ডি’ককও। ১৬ বলে ২৩ রান করলেন প্রোটিয় ক্রিকেটার। কোনও চার না মারতে পারলেও তিনটি ছক্কা হাঁকালেন তিনি। আর নারিনের খাতায় ৫টি ছয়। ১৮ বলে ৪৪ রানে ফিরলেন তিনি। তখন জিততে বাকি আর মাত্র ১৯ রান। সেই কাজটা হাসতে হাসতেই করে দিলেন রাহানে (২০) ও রিঙ্কু (১৫)। শেষ পর্যন্ত ৯ ওভার বাকি থাকতে ৮ উইকেট হাতে নিয়ে সহজেই ম্যাচ জিতল কেকেআর। ৬ ম্যাচ খেলে ৬ পয়েন্ট রাহানেদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.