সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোট-আঘাত, যন্ত্রণা, ধন্দ কাটিয়ে শাপমুক্তি ঘটানোর নাম মহম্মদ শামি। কথা কম, কাজে বিশ্বাসী তারকার নাম মহম্মদ শামি। ধৈর্য আর পরিশ্রমের দৃষ্টান্ত মহম্মদ শামি। চোটে জর্জরিত জশপ্রীত বুমরাহর অনুপস্থিতি নিয়ে যখন দেশজুড়ে হাহুতাশ, তখন ভারতীয় শিবিরে বসন্ত এনে দিলেন সেই মহম্মদ শামিই। বুঝিয়ে দিলেন, জবাব দিতে হলে এভাবেই দিতে হয়। যাতে ভবিষ্যতে কামব্যাকের উদাহরণ দিতে গিয়ে অনায়াসে বলা যায়, এক যে ছিলেন শামি।
একবছরেরও বেশি থাকতে হয়েছে মাঠের বাইরে। সুস্থ হলেও জাতীয় দলের দরজা খোলেনি। বরং দিনের পর দিন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হয়েছে। ‘বুড়ো’ পেসারকে বাতিলের খাতাতেও ফেলে দিয়েছিল ক্রিকেটবোদ্ধাদের একাংশ। পুরোদমে বল করতে পারছেন না, এই বলে তারকা পেসারের কেরিয়ারে দাঁড়ি টেনে দিতেও দুবার ভাবেননি কেউ। এমনকি টিম কম্বিনেশনের দোহাই দিয়েও তাঁকে বসিয়ে রাখা হয়েছে জাতীয় দলের বেঞ্চে।
কিন্তু তিনি তো মহম্মদ শামি। হতাশার অন্ধকার থেকে ফিনিক্সের মতো কামব্যাক তাঁর শিরায় শিরায়। সমালোচকদের সঠিক সময়ে জবাব দিতেও তাঁর জুড়ি মেলা ভার। তাই চোট সারিয়ে দুরন্ত কামব্যাকের জন্য বেছে নিলেন তাঁর প্রিয় মঞ্চ-আইসিসি টুর্নামেন্ট। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট এলেই যেন জ্বলে ওঠেন বঙ্গ পেসার। বৃহস্পতিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে নেমে ফের পাঁচতারা পারফরম্যান্স তাঁর। পাঁচটি উইকেট তুলে নিয়ে একাই ধাক্কা দিলেন টাইগারদের ইনিংসকে। সেই সঙ্গে পূর্ণ হল তাঁর ডাবল সেঞ্চুরিও।
ওয়ানডেতে ২০০টি উইকেটের মালিক হলেন বঙ্গ পেসার। ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম হিসাবে এই নজির গড়লেন শামি, অজি তারকা মিচেল স্টার্ককে পিছনে ফেলে। অজি পেসারের থেকে কম ম্যাচ খেলে, কম ডেলিভারি করেই ২০০ উইকেট তুলে নিলেন তিনি। এছাড়াও আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতীয় হিসাবে সবচেয়ে বেশি উইকেট পাওয়ার নজিরও গড়লেন শামি। ৬০টি উইকেট তুলে তিনি পিছনে ফেললেন জাহির খানকে। আইসিসি টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেটপ্রাপকদের তালিকাতে সপ্তম স্থানে উঠে এসেছেন বঙ্গ পেসার। সপ্তম ভারতীয় বোলার হিসাবে ওয়ানডে-তে ২০০ টির বেশি উইকেট গিয়েছে শামির ঝুলিতে। এছাড়াও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতীয় হিসাবে দ্বিতীয় সেরা বোলিং পারফরম্যান্স করলেন শামি। এদিন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৫৩ রানে ৫ উইকেট পেলেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.