ফাইল ছবি
গৌতম গম্ভীর: সালটা ২০১৫। অস্ট্রেলিয়ার পারথে গিয়েছিলাম জাস্টিন ল্যাঙ্গারের থেকে কোচিং নিতে। ওয়াকা স্টেডিয়ামের অফিসে ল্যাঙ্গারের সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল। ল্যাঙ্গারের সেই অফিসটা খুব ‘শক্তিশালী’ ছিল। শক্তিশালী শব্দটা ব্যবহার করলাম কারণ সেই অফিসে ল্যাঙ্গার অনেক ক্রিকেটারকে আদর্শ টিমম্যানে পরিণত করেছে। ল্যাঙ্গারের কোচিংয়ে সব সময় ‘আমি’র থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমরা। প্রায় ২০ দিন ছিলাম। ল্যাঙ্গারের সঙ্গে কাজ করতে পারাটা দারুণ একটা অভিজ্ঞতা ছিল। ল্যাঙ্গারের মন্ত্র সব সময় ছিল একটাই – টিমগেম।
ক্রিকেট নিয়ে অনেক আড্ডা দিয়েছি ল্যাঙ্গারের সঙ্গে। স্টিভ ওয়ার অস্ট্রেলিয়ান ড্রেসিংরুম থেকে ল্যাঙ্গার একটা জিনিস শিখেছিল- ভাল সময়ে সতীর্থরা প্রচারের আলোয় থাকুক। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আবার অধিনায়কই বিতর্কের রেশ ছড়াতে দেবে না দলে। একজন লিডার এমনভাবেই ড্রেসিংরুমের সবাইকে উদ্বুদ্ধ রাখে। আশা করছি আজ নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) বিরুদ্ধে নিজেদের সেরাটা দিতে তৈরি ভারত। ব্রিসবেন হোক বা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডে খেলা, ভারত জানে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। জানি বাইরে অনেক কিছু বলা হচ্ছে ভারতীয় দল নিয়ে। তবে আমি নিশ্চিত ভারত বাড়তি চাপ নেবে না।
পরিষ্কার বলছি মহেন্দ্র সিং ধোনিই (MS Dhoni) আজ ভারতের অন্যতম প্রধান অস্ত্র। দেখুন নতুন করে বলার কিছু নেই যে ধোনির ক্রিকেট-মস্তিষ্ক খুবই প্রখর। বড় ম্যাচ পরিস্থিতিতে কীভাবে পারফর্ম করতে হয় সেটা ধোনি ঠিক বোঝাবে এই দলকে। আমি বলছি না যে বিরাটদের ট্যাকটিক্স ঠিক করুক ধোনি। তবে ধোনির পরামর্শ আজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
আরও একবার বলব বোলিং করতে পারলে তবেই যাতে প্রথম এগারোয় থাকে হার্দিক পাণ্ডিয়া (Hardik Pandya)। ঈশান কিষানকে কিন্তু হার্দিকের পরিবর্তে খেলানোই যায়। ভুবনেশ্বর কুমারের জায়গায় রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ভাবা যেতেই পারে।
কিন্তু তিন স্পিনার খেলানোটা কি ঠিক হবে? জানি না। সব কিছুই নির্ভর করছে পিচের কন্ডিশনের উপর। শিশির খুব বড় একটা ফ্যাক্টর হতে পারে। আমি থাকলে জসপ্রীত বুমরাহ আর বরুণ চক্রবর্তীকে শুরুর থেকে বোলিং করাতাম। বরুণের মতো মিস্ট্রি স্পিনার ভারতের তুরুপের তাস হতেই পারে। কারণ নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা খুব বেশি খেলেনি ওর বোলিং। তাই আশা করছি বরুণকে ঠিক মতো যাতে ব্যবহার করে বিরাট (Virat Kohli)। প্রার্থনা করছি ঋষভ পন্থও আজ ভাল ব্যাটিং করুক। ঋষভকে বুঝতে হবে ও এমন একটা স্লটে খেলছে যেখানে ওকে আরও দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে। যদি বাউন্ডারি না আসে তখন সিঙ্গলস নিয়ে খেলতে হবে। অবশ্যই এক হাতে ছক্কা মারুক পন্থ। সঙ্গে আবার বিপক্ষ যখন সমস্যায় ফেলবে তখন স্ট্রাইকও রোটেট করুক। নিঃসন্দেহে ঋষভ কিন্তু ভারতীয় দলের অন্যতম বড় সম্পদ।
(দীনেশ চোপড়া মিডিয়া/গেমপ্ল্যান)
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.