স্টাফ রিপোর্টার: ইডেনের দোতলার কোণার ঘরের চেয়ারে বসে বড্ড আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছিলেন নতুন সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া। যে চেয়ারে একটা সময় তাঁর বাবা জগমোহন ডালমিয়া বসতেন, সেই চেয়ারেই আনুষ্ঠানিক ভাবে সিএবি প্রেসিডেন্ট হিসাবে তিনি বসলেন। কত স্মৃতি। বলছিলেন, ‘‘ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি, বাবা বলতেন ইডেন তাঁর কাছে মন্দির। সেই আবেগটা আমার মধ্যেও সারাজীবন থাকবে।’’ কথা বলতে গিয়ে নস্ট্যালজিয়ায় ভেসে গেলেন অভিষেক।
নস্ট্যালজিক আরও একজনও। তিনি সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশাসনে আসার পর প্রথম এই চেয়ারেই বসেছিলেন। সেই চেয়ারে বসলেন এবার দাদা স্নেহাশিস। অবশ্য প্রশাসক হিসাবে এর আগেও তিনি সিএবিতে ছিলেন। কিন্তু সেই সিএবির সঙ্গে এই সিএবির অনেক তফাৎ রয়েছে। স্নেহাশিস বলছিলেন, ‘‘আগে যখন এসেছিলাম, তার তুলনায় এখন অনেক বেশি শান্ত সিএবি। এই পার্থক্যটা আমার চোখে পড়ছে।’’
অভিষেক যে প্রেসিডেন্ট হবেন, আর স্নেহাশিস সচিব হিসাবে আসবেন, সেটা একপ্রকার নিশ্চিত হয়েই গিয়েছিল। বুধবার এসজিএমে তাতে সরকারি শিলমোহর পড়ল স্রেফ। সিএবির ইতিহাসে কনিষ্ঠতম প্রেসিডেন্ট হলেন অভিষেক। তিনি একটা জিনিস বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন, তাঁর কাছে প্রাধান্য পাবে টিম। বলছিলেন, ‘‘ধরুন আমি নতুন কোনও চিন্তা-ভাবনা করলাম, সেটা কিন্তু আমার একার চিন্তা-ভাবনা হবে না। গোটা টিমের হবে।’’
প্রেসিডেন্টের পাশে বসে স্নেহাশিস তাতে পূর্ণ সমর্থন করলেন। আর সিএবির নতুন কমিটি আরও একটা জিনিস বুঝিয়ে দিল, বঙ্গ ক্রিকেট নিয়ে একগুচ্ছ পরিকল্পনা তাদের রয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে পাঁচটা সেরা দলকে নিয়ে জমকালো টুর্নামেন্ট করার ভাবনা যেমন রয়েছে, তেমনই প্রাক্তন সিএবি সভাপতির মস্তিষ্কপ্রসূত ভিশন ২০২০ টা ২০২৫ করার ভাবনাও থাকছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.