সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে হার। প্রথম ইনিংসে ৪০০-র উপর রান করেও হার মানতে হয়েছে শান মাসুদদের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই প্রথম টেস্ট ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ। তার পরই প্রশ্ন উঠছে প্রথম ইনিংসে ৪৪৮ রানে ডিক্লেয়ার করে দেওয়াই বুমেরাং হল পাকিস্তানের জন্য?
অথচ চতুর্থ দিনের শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ড্রয়ের দিকেই এগোচ্ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে যে বাবর আজমরা এভাবে আত্মসমর্পণ করবেন, তা কে জানত? রাওয়ালপিণ্ডিতে টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত। প্রথম দিকে ধারাবাহিক উইকেট হারালেও ইনিংসের হাল ধরেন সউদ শাকিল ও মহম্মদ রিজওয়ান। দুজনেই সেঞ্চুরি করেন। শাকিল ১৪১ রান করে আউট হয়ে গেলেও রিজওয়ান অপরাজিত থাকেন ১৭১ রানে। তার পরই পাকিস্তানের ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন শান মাসুদ। তখন তাঁদের রান ছিল ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৪৮ রান।
কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাটিংও হাল ছাড়েনি। মুশফিকুর রহিমের ১৯১ রানের ইনিংস তাঁদেরকে বড় রান তুলতে সাহায্য করে। যোগ্য সঙ্গ দেন শাদমান ইসলাম (৯৩), লিটন দাস (৫৬), মেহেদি হাসান (৭৭)। সব উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের রান ওঠে ৫৬৫। অর্থাৎ প্রথম ইনিংসের শেষে ১১৭ রানের লিড ছিল শাকিব আল হাসানদের। তাতেও যে পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত পর্যুদস্ত হবে, তা বোধহয় ক্রিকেটভক্তরা ভাবতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৪৬ রানে গুঁটিয়ে যায় তাঁদের ইনিংস। জেতার জন্য মাত্র ৩০ রানের লক্ষ্য কোনও উইকেট না হারিয়েই তুলে নেয় বাংলাদেশ।
তার পরই প্রশ্নের মুখে পড়েছে শান মাসুদের সিদ্ধান্ত। প্রথম ইনিংসে ডিক্লেয়ার না করলে হয়তো হারের মুখে পড়তে হত না। যেহেতু তখনও তাঁদের ৪ উইকেট হাতে ছিল এবং রিজওয়ান ব্যাট করছিল, ফলে আরও বড় রানের দিকে এগোতেই পারত পাকিস্তান। এমনকী ডিক্লেয়ার দেওয়ার পর রীতিমতো অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন রিজওয়ান। সেটাই বুমেরাং হয়ে ফিরে এল পাক শিবিরের জন্য। যদিও পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথমবার এই ঘটনা ঘটেনি। এর আগে তিনবার ম্যাচ ডিক্লেয়ার দিয়ে হারতে হয়েছে তাঁদের। ১৯৬১-এ ইংল্যান্ড, ১৯৭২ ও ২০১৬-য় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও একই ঘটনা ঘটেছিল। ইতিহাস থেকে তাঁরা শিক্ষা না নিয়ে ফের একই ভুল করলেন, সেটাকেও কটাক্ষ করছেন অনেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.