সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি টেস্ট থেকে অবসর নিতে পারেন, এরকম জল্পনা ছিলই। সেটা সত্যি করে সোমবার সকালে আচমকাই লাল বলের ক্রিকেটে বিদায়বার্তা জানান বিরাট কোহলি। সামনেই ইংল্যান্ড সফর। তার আগে হঠাৎ কী ঘটল, যে কারণে সরে দাঁড়ালেন তিনি। নেপথ্যে থাকতে পারে সম্ভাব্য পাঁচ কারণ।
সাদা জার্সিতে অফ ফর্ম: সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টে একেবারেই কোহলিসুলভ ফর্মে ছিলেন না। বর্ডার গাভাসকর ট্রফিই তাঁর কেরিয়ারের শেষ টেস্ট সিরিজ। অজিভূমে করেছিলেন মাত্র ১৯০ রান। পারথে একটি সেঞ্চুরি ছাড়া বলার মতো পারফরম্যান্স নয়। তার আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুই টেস্টে ৯৯ ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন টেস্টে করেছিলেন ৯৩।
টেস্ট ক্রিকেটের ধকল: শোনা যায়, বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে সতীর্থদের বলেছিলেন, ‘আমি শেষ’। সম্ভবত টেস্ট ক্রিকেটের টানা পাঁচদিনের ধকল নিতে পারছিলেন না। যথেষ্ট ফিট হলেও ৩৬ বছর বয়সে কোথাও গিয়ে শুধু শারীরিক নয়, মানসিক ক্লান্তিও কাজ করছিল।
বোর্ডের সঙ্গে বনিবনার অভাব: সাম্প্রতিক সময়ে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে তাঁর দূরত্বের কথা জানা যাচ্ছিল। রোহিত শর্মা অবসর নেওয়ার পর টেস্ট ক্রিকেটে ফের অধিনায়ক হতে চেয়েছিলেন। তবে সেই আর্জি পত্রপাঠ খারিজ হয়ে যায়। যদিও কোহলি যাতে অবসর না নেন, সেই জন্য অনুরোধ করেছিল বিসিসিআই।
গম্ভীরের আগমন: ভারতীয় দলের কোচ গম্ভীরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যে সুমধুর নয়, সেটা নতুন কিছু ছিল না। যদিও জাতীয় দলে ‘সুসম্পর্ক’ই বজায় রেখেছেন দুজনে। কিন্তু অভ্যন্তরে যে একটা চোরাস্রোত আছে, সেটাও অস্বীকার করা যায় না। সিনিয়র ক্রিকেটাররা ঘরোয়া ক্রিকেট খেলুক, এসব বলে চাপও বাড়িয়ে ছিলেন। সম্প্রতি রোহিত শর্মাও টেস্ট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সেটাকে সম্ভবত ‘অশনি সংকেত’ হিসেবে দেখছিলেন কোহলি।
তরুণদের জায়গা করে দেওয়া: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরও সরে দাঁড়িয়েছিলেন রোহিত-বিরাট। এবারও ঠিক তাই। সামনে ইংল্যান্ড সিরিজ। সেখান থেকে নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্র শুরু হবে। শুভমান গিল, যশস্বী জয়সওয়ালদের যে আরও সুযোগ দরকার, সেটা ভেবেও সরে দাঁড়াতে পারেন কোহলি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.