সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিসিসিআইয়ের মসনদে বসার পর ধীরে ধীরে তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে বিরাট কোহলির। আর তারই প্রতিফলন ঘটল কোহলির কেরিয়ারে। এই সংঘাতের জেরেই নেতৃ্ত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর মতো বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন তিনি। কোহলির টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে এভাবেই বোমা ফাটালেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক রশিদ লতিফ (Rashid Latif)। যাঁর মতে, বিরাটের আচমকা এমন সিদ্ধান্ত ঘোষণার ‘আসল কারণ’ সৌরভ-কোহলি কলহ।
গত ১৫ জানুয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা পোস্ট করে বিরাট কোহলি জানিয়েছিলেন, টেস্টের ক্যাপ্টেন্সি থেকে সরে দাঁড়ানোর তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। যাকে সম্মান জানায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও (BCCI)। কিন্তু রশিদ লতিফ বিষয়টাকে এত স্বাভাবিকভাবে নিতে রাজি নন। তাঁর দাবি, প্রকাশ্যে সৌরভ ও কোহলি যা-ই বলুন না কেন, নেপথ্যের গল্প অন্যরকম। তিনি বলেন, “নেতৃ্ত্ব ছাড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আসল কারণই হল বোর্ডের সঙ্গে সংঘাত। বিরাট যতই বলুন এটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত কিংবা সৌরভ যে টুইটই করে থাকুন না কেন, এ আসলে রাজায়-রাজায় যুদ্ধ।”
গত বছরই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন কোহলি (Virat Kohli)। তারপরই দেখা যায় ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। পরিবর্তে নেতার আসনে বসেন রোহিত শর্মা। বোর্ডের সেই সিদ্ধান্তের পর সাংবাদিক সম্মেলনে বোমা ফাটিয়েছিলেন বিরাট। বলেছিলেন, তাঁকে মাত্র দেড় ঘণ্টা আগে জানানো হয়েছিল অধিনায়ক থেকে সরানোর সিদ্ধান্তের কথা। পাশাপাশি টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়তে যে তাঁকে কেউ অনুরোধ করেননি, সে কথাও বলেন কোহলি। যদিও সৌরভ (Sourav Ganguly) আগেই বলেছিলেন, কোহলিকে এ বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। ফলে সে সময় সৌরভ-কোহলি মনোমালিন্য একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।
সেই প্রসঙ্গ টেনেই লতিফ বলছেন, “কিছু মানুষ আবেগপ্রবণ হয়ে থাকে। কীভাবে কখন কোহলিকে খোঁচা দিতে হবে বোর্ডের জানা। তাই তো টি-২০ নেতৃত্ব ছাড়তেই ওর ওয়ানডে অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হল। এতে কোহলিকে নয়, গোটা ভারতীয় দলটাকেই নড়বড়ে করে দেওয়া হল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.