ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইপিএলে (IPL 2022) টানা ব্যর্থতার মুখে বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। মঙ্গলবার লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে প্রথম বলেই আউট হন তিনি। প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের এই অবস্থা দেখে মুখ খুলেছেন জাতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী। বিরাটকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেছেন, বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন কোহলির। ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচের মত, মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত বিরাট। আগের মতো পারফরম্যান্স করতে গেলে কিছুদিন ক্রিকেট থেকে দূরে থাকা দরকার তাঁর।
কোভিড পরবর্তী সময়ে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে গিয়ে ক্রিকেটাররা মানসিক ভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। বিরাটের মতো ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে তার সঙ্গে যোগ হয় প্রত্যাশার চাপ এবং সমালোচনা। সব মিলিয়ে মানসিক চাপ আসে এবং প্রভাব পড়ে খেলায়। সেই কারণেই বিরাটকে কিছুদিনের বিরতি নিতে পরামর্শ দিচ্ছেন রবি শাস্ত্রী। ভারতীয় দলের আগামী ইংল্যান্ড সফরে বিরাটের বিশ্রাম নেওয়া উচিত বলে মনে করেন শাস্ত্রী।
অতিমারীর পরে যখন ফের ক্রিকেট শুরু হয়, সেই সময়ে ভারতীয় দলের কোচ ছিলেন শাস্ত্রী। তিনি বলেছেন, “প্রথম কথা আমি বলেছিলাম, এই সময়ে সকলের প্রতি সহমর্মী থাকতে হবে। কারওর উপরে জোর করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। অতিরিক্ত চাপ দিলে মনঃসংযোগ নষ্ট হতে পারে। তখন ভাল খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। তাই এই সময় খুব সতর্ক হয়ে থাকতে হবে।” এর পরেই তিনি যোগ করেন, “যদি কারওর বিশ্রাম নিতেই হয়, সেটা বিরাটের। দেড়-দু’মাস বিশ্রাম নেওয়া উচিত ওর।” তিনি মনে করেন এখনও ছয়-সাত বছর অনায়াসে খেলতে পারেন বিরাট। কিন্তু তার জন্য অবিলম্বে বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন তাঁর।
শাস্ত্রী আরও মনে করেন, বিরাট ছাড়াও বিশ্ব ক্রিকেটের কেউ কেউ এই সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, ব্যাটিংয়ে মন দেবেন বলেই আইপিএল এবং ভারতীয় দলের নেতৃত্ব ছেড়েছেন বিরাট। তাই আইপিএলে তাঁর প্রতি অনেক আশা ছিল আরসিবি (RCB) ভক্তদের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সাত ম্যাচে মাত্র ১১৯ রান করেছেন বিরাট। করোনা সংক্রমণ এড়াতে এবার আইপিএল আয়োজন করা হয়েছে মুম্বই এবং পুণেতে। তাও করোনার লাল চোখ এড়াতে পারেনি দিল্লি ক্যাপিটালস। আরও আঁটসাঁট হতে পারে জৈব সুরক্ষা বলয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, টানা খেলার মানসিক ধকল কাটিয়ে উঠতে কি শাস্ত্রীর পরামর্শ নেবেন বিরাট?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.