ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঈশ্বরের আশীর্বাদে তাঁর চেহারা হুবহু মিলে যায় শচীন তেণ্ডুলকরের সঙ্গে। এই লুকই তাঁকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। পরিচিত দিয়েছে। কিন্তু এক অদৃশ্য ভাইরাস তাঁর জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে জোর ধাক্কা দিল। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চাকরি খোয়ালেন বলবীর চাঁদ।
মাস্টার ব্লাস্টারের সঙ্গে চেহারার অদ্ভুত মিল। হাঁটাচলা থেকে কথা বলা, উচ্চতা থেকে মাথার চুল, সবটাতেই ক্রিকেট ঈশ্বরের ছোঁয়া বলবীরের। এই চেহারার সৌজন্যেই বহুবার টিভির পর্দায় আসার সুযোগ পেয়েছেন। বিজ্ঞাপনও করেছেন। মুম্বইয়ের একটি ফাস্ট ফুড চেনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডরও হন বলবীর। কিন্তু লকডাউনের জেরে চাকরি হারান তিনি। মুম্বইয়ের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বলবীর ঠিক করেন উপার্জনই যখন বন্ধ, তখন দেশের বাড়ি ফিরে যাবেন। সেই মতো গত ১০ জুন পাঞ্জাবে পৌঁছান তিনি। কিন্তু নিজের শরীরের সঙ্গে যে করোনার জীবাণুও বয়ে এনেছেন, টেরও পাননি। সেখানে পৌঁছে টেস্ট করলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। করোনায় আক্রান্ত তাঁর পরিবারের লোকেরাও। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভরতি করা হয় সকলকে। ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন বলবীর। দিন দুয়েক আগেই তাঁর আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বছর পঞ্চাশের বলবীর বুধবার বলেন, “যে কোম্পানির তিনি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর ছিলেন, সেখানে অনেক কর্মীকেই ছেঁটে ফেলা হয়েছে। আমাকেও ওরা বলে দেয়, আপাতত আসতে হবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ডেকে নেওয়া হবে।” তবে দেশের বাড়িতে এসেই করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আরও বিপাকে পড়েন বলবীর। এখানেও কোনও কাজ করতে পারছেন না তিনি। তাঁর আশা দ্রুত সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারবেন।
বলছেন, “শচীনজির মুখটাই আমাকে খ্যাতি দিয়েছে। তবে আমি লিখতে পারি, সুর দিতে পারি। আশা করি নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারব। আর করোনা পরবর্তী সময়ে আবার চাকরি ফিরে পাব। মানুষও আমার মুখটি দেখে আবার খুশি হবে।” তবে প্রিয় ভক্তের এই অবস্থার কথা শচীনের কানে এখনও যায়নি। এ খবর পেলে তিনি কী বলেন, সেটাই দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.