সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবেগের ঢক্কানিনাদ নয়। নিঃশব্দে পরাজিত নায়কের মতো ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেন স্টিভ স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আর ওয়ানডে খেলবেন না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে হারের পরই ঘোষণা করে দিলেন স্মিথ। অজি অধিনায়কের অবসরের ফলে ওয়ানডে ক্রিকেটের তথাকথিত ফ্যাব ফোর ভেঙে গেল।
মঙ্গলবার সেমিফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে হারের পরই ড্রেসিংরুমে গিয়ে স্মিথ জানিয়ে দেন, ওয়ানডে থেকে অবসর নিচ্ছেন। বুধবার ছোট্ট বিবৃতিতে সরকারিভাবে সেটা ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অভিষেক হয় স্মিথের। লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসাবে কেরিয়ার শুরু হয় তাঁর। ক্রমে বিশ্বক্রিকেটের প্রথম সারির তারকা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মোট ১৭০টি ওয়ানডে খেলে স্মিথের সংগ্রহ ৫ হাজার ৮০০ রান। ১২টি সেঞ্চুরি এবং ৩৫টি হাফ সেঞ্চুরির মালিক তিনি। ওয়ানডেতে গড় ৪৩.২৮। সঙ্গে ২৮টি উইকেটও রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বর্ণময় ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম স্মিথ। একটা সময় বিরাট কোহলি, জো রুট, কেন উইলিয়ামসনদের সঙ্গে স্মিথকে এক সারিতে বসাতেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। কেরিয়ারের শুরুটা তিনি চমকপ্রদভাবেই করেছিলেন। তবে ধীরে ধীরে গতি হারাতে থাকেন। অবসরের সময় ওয়ানডে ক্রিকেটে সমকালীন মহাতারকাদের থেকে পরিসংখ্যানের নিরিখে খানিক পিছিয়ে থাকলেও ট্রফিজয়ের নিরিখে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন তিনি। অজিদের হয়ে ২০১৫ এবং ২০২৩ বিশ্বকাপ জিতেছেন স্মিথ। দীর্ঘ সময় দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও অস্ট্রেলিয়ার টপ স্কোরার ছিলেন স্মিথ। অথচ দলকে সাফল্য এনে দিতে না পারায় একপ্রকার নিঃশব্দেই অবসর নিয়ে ফেললেন তিনি।
স্মিথের ওয়ানডে অবসরে ভেঙে গেল বিশ্ব ক্রিকেটের ফ্যাব ফোর। ওয়ানডে ফরম্যাটে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়েছিল কোহলি-স্মিথদের সেই অনূর্ধ্ব-১৯ খেলার সময় থেকে, সেটার প্রথম পর্বে ইতি। তবে স্মিথকে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতে আগামী দিনেও খেলতে দেখা যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.