সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাফল্যের জন্য পরিশ্রমের সঙ্গে ভাগ্যও কতটা প্রয়োজন, তার সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত বিশ্বকাপ ফাইনাল। ভাগ্য সহায় না হলে রবিবার লর্ডসে হয়তো অন্য কোনও ইতিহাস রচিত হত। কিন্তু দিনটা ছিল হোম ফেভরিটদেরই। তাই লর্ডসে শেষ হাসি হাসলেন ইয়ন মর্গ্যানই। আর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই ‘আল্লা’কে ধন্যবাদ জানালেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে খেললেও জন্মসূত্রে আইরিশ মর্গ্যান। আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে জন্ম তাঁর। বিশ্বজয়ের ক্ষেত্রে কি সেই আইরিশ ভাগ্যই ক্লিক করে গেল? ম্যাচ শেষে এমন প্রশ্নের জবাবে মর্গ্যান জানান, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলার সময় আল্লাও তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। অধিনায়কের কথায়, “আমাদের সঙ্গে আল্লাও ছিল। আমি আদিল রশিদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। ও বলল, আল্লা নিশ্চয়ই আমাদের সঙ্গে আছে। ভিন্ন দেশে বেড়ে ওঠা ক্রিকেটারদের সংস্কৃতিও আলাদা। তবে সেই বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যই এই দলের শক্তি।” আসলে ইংল্যান্ড দলে একাধিক দেশের ক্রিকেটার থাকা সত্ত্বেও তাঁরা যে ঐক্যবদ্ধ, একথাই বোঝাতে চেয়েছেন মর্গ্যান।
খোদ অধিনায়কের জন্ম আয়ারল্যান্ডে। মইন আলি এবং আদিল রশিদের জন্ম ব্রিটেনে হলেও তাঁরা আসলে বাংলাদেশ ও পাক বংশোদ্ভূত। জেসন রয় জন্মসূত্রে দক্ষিণ আফ্রিকার। টম কুরানের জন্মও দক্ষিণ আফ্রিকার। দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য অল রাউন্ডার তথা ফাইনালের সেরা বেন স্টোকস আবার নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দা। হোফ্রা আর্চার জন্মসূত্রে ক্যারিবিয়ান। বিশ্বকাপ শুরুর আগে ইংল্যান্ডের এই দলটিকে বিশ্ব একাদশ বলে কটাক্ষ করেছিলেন কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকর। অথচ তাঁরাই ঐক্যবদ্ধভাবে বিশ্বজয়ের নজির গড়লেন। আর ঠিক সেই কারণেই মর্গ্যান বলেছেন, সব ধর্মের উপরওয়ালার আশীর্বাদই ফাইনালে তাঁরা পেয়েছেন। তাতেই এসেছে কাঙ্খিত জয়।
Eoin Morgan “We had Allah with us” #CWC19Final pic.twitter.com/Rfb6JdwScI
— Saj Sadiq (@Saj_PakPassion) July 14, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.