সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: এবার বঙ্গবিভূষণ ও বঙ্গরত্নের জন্য রিচার নাম সুপারিশ করতে চলেছে শিলিগুড়ি। সৌজন্যে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। বুধবারই কলকাতা ফিরে গিয়েছেন রিচা। তার আগে মঙ্গলবার সন্ধেয় পর্যটন দপ্তরের শিলিগুড়ির কার্যালয় মৈনাক টুরিস্ট লজে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন রিচা ও তাঁর বাবা মানবেন্দ্রবাবু।
নিজের শহর ছেড়ে এদিনই ফের কর্মক্ষেত্র কলকাতায় ফিরেছেন আসন্ন মহিলা বিশ্বকাপের জন্য সদ্য জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া রিচা ঘোষ। সেখানে আপাতত অনুশীলন করে জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় সে। তবে শহরের প্রথম বিশ্বকাপারকে ঘিরে ঘোর কাটছে না শহরবাসীর। সাধারণ বাসিন্দা থেকে খোদ মন্ত্রী-মেয়র সকলেই বুঁদ ঘরের মেয়ের অভাবনীয় সাফল্যে। ফলে তাঁকে কীভাবে আরও সম্মানিত করা যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। এবার বঙ্গরত্ন কিংবা বঙ্গবিভূষণের জন্য তাঁর নাম প্রস্তাব করার কথা ভাবছে রাজ্য। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। মন্ত্রীর ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা রিচা। মন্ত্রীর বাড়ি থেকে দূরত্ব মেরেকেটে তিনশো মিটার। ফলে আলাদা টান থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
২০ জানুয়ারি শুরু হতে চলেছে উত্তরবঙ্গ উৎসব। প্রতি বছরই এই উৎসবে বেশ কয়েকজন কৃতী সন্তানকে বঙ্গরত্ন উপাধি দেওয়া হয়। উত্তরবঙ্গ উৎসব শুরুর প্রাক্কালে রিচার কৃতিত্ব স্বভাবতই তাকে এমন সম্মানের অন্যতম দাবিদার হিসেবে তুলে ধরেছে। মন্ত্রী বলেন, “বিষয়টি আমাদের মাথায় রয়েছে। সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে এবার তালিকায় রিচার নাম রাখা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা করছি।” তবে সময় খুব কম থাকায় এবং রিচার অনুপস্থিতিতে শেষমেষ তাকে বঙ্গরত্ন দেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান উৎসব কমিটির অনেকেই। তবে আপাতত এনিয়ে কমিটির সদস্যদের কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না। সবটাই নির্ভর করছে মন্ত্রীর পদক্ষেপের উপর। তবে বঙ্গরত্ন না হলেও বঙ্গবিভূষণের জন্য চিন্তা-ভাবনা করছে রাজ্য বলে নিজেই জানিয়েছেন মন্ত্রী।
যদিও রিচাকে নিয়ে এখনই এত বাড়াবাড়ি করার পক্ষপাতী নন শিলিগুড়ির মেয়র তথা বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য। বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রবীণ আগরওয়ালেরও একই মত। অশোকবাবুর দাবি, “আমি রিচার শুভাকাঙ্ক্ষী। ও কেবলমাত্র দলে সুযোগ পেয়েছে। এটা ভাল খবর। কিন্তু পারফর্ম করে দলে টিকে থাকতে হবে। তারপরই আমরা তাকে কোনওরকম নাগরিক সংবর্ধনা বা যে কোনওরকম খেতাব তুলে দেওয়ার পক্ষপাতী। অতিরিক্ত মাতামাতি করে রিচার ফোকাস নষ্ট করতে চাই না।” এমনকী রিচাকে ঘিরে রাজনৈতিক ফায়দা তোলা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিজেপি জেলা সভাপতি বলেন, “রাজ্যের উচিত খোলা মনে ওকে খেলতে দেওয়া। পাশাপাশি আরও অনেক খেলোয়াড় যাতে উঠে আসতে পারে, সেই পরিকাঠামো তৈরি করে দেওয়া তাদের দায়িত্ব। সম্মানিত করার সময় ও সুযোগ দু’টোই অনেক মিলবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.