ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর বাংলার হয়ে খেলবেন না। ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা। আর তারপর থেকেই নতুন দলের সন্ধান শুরু করে দিয়েছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, একাধিক রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে ভারতীয় উইকেটকিপারের। তবে পাল্লা নাকি ভারী ত্রিপুরার। অর্থাৎ বাংলা থেকে পড়শি রাজ্যের দিকে পা বাড়ানোর সম্ভাবনা জোড়াল হয়েছে তাঁর।
সূত্রের খবর, ত্রিপুরা দলে ক্রিকেটার হিসেবে খেলার পাশাপাশি মেন্টরের দায়িত্ব নেওয়া নিয়েও নাকি অ্যাসোসিয়েশনের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে ঋদ্ধিমানের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। শীঘ্রই সিএবি (বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন) থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (NOC) তুলবেন ঋদ্ধি। তারপর ভারতীয় বোর্ডের সম্মতি পেলে কোন রাজ্যের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলবেন, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে খবর।
চলতি রনজি ট্রফির নকআউটে ঋদ্ধিমানকে বাংলার দলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে না জানিয়েই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন উইকেটকিপার। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সিএবি (CAB) তাঁর সঙ্গে বারংবার খারাপ আচরণ করেছে। তাই তিনি আর এই ক্রিকেট সংস্থার হয়ে খেলতে রাজি নন। ঋদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়ে সিএবিতেও ক্ষোভ ছিল। যদিও সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া বাংলা না ছাড়ার জন্য ঋদ্ধিকে অনুরোধ জানিয়ে ছিলেন। একইভাবে ঋদ্ধিও (Wriddhiman Saha) পালটা অনুরোধ করেছিলেন। বলেন, তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সেটা তাঁকে প্রচণ্ড আঘাত করে। তাই এটা নিয়ে যেন সিএবি কিছু ভাবনা-চিন্তা করে। কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন যে যুগ্মসচিব যা বলেছিলেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। সিএবির তরফ থেকে বলা হয়, সংস্থার প্রেসিডেন্টই সংস্থার সর্বোচ্চ কর্তা। তাই তিনি যেখানে অনুরোধ করেছেন, তখন ঋদ্ধির খেলা উচিত ছিল। প্রেসিডেন্টের চেয়ারকে সম্মান জানানো উচিত ছিল।
এসব সত্ত্বেও নিজের অবস্থানে অনড়ই থাকেন ঋদ্ধিমান। এবার নিজের রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থার সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্কে ইতি টেনে নয়া সফরের পথে তিনি। তবে ত্রিপুরাই হবে কি না, তা জানতে আরও খানিকটা অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.