সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মরশুমের প্রথম আই লিগ ডার্বি ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। গত 33 মাস মোহনবাগানের বিরুদ্ধে বড় ম্যাচে দাঁত ফোটাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। এবার সেই অপেক্ষার অবসান হবে? নাকি ফের বাজিমাত করবে সেই সবুজ-মেরুন শিবির। এ নিয়েই চলছে বিস্তর আলোচনা। বেলা গড়াতেই ভিড় জমতে শুরু করেছে যুবভারতী চত্বরে। রবিবার শান্তিপূর্ণ ডার্বির জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে বিধাননগর পুলিশ। দর্শকদের জন্য চলবে অতিরিক্ত সরকারি বাস।
শনিবার ডার্বি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি অমিত পি জাভালগি। তিনি জানান, সন্ধেয় খেলা দেখে ফিরতে যাতে দর্শকদের কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য ৪০টিরও বেশি বাস চলবে। ডার্বি দেখতে প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ আসবে বলে আশা মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি ডার্বিতে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য স্টেডিয়াম জুড়ে মোতায়েন থাকবে পুলিশ। থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশও। সিসিটিভি-তেও চলবে নজরদাবি। দুপুর আড়াইটেতে খুলে যাবে গেট। অন্যান্যবারের মতো এবারও হেলমেট, ছাতা এবং ব্যাগ নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করার অনুমতি নেই। মদ্যপ অবস্থায় কেউ ম্যাচ দেখতে এসে তাকে আটক করা হবে বলেও জানান অমিত পি জাভালগি।
এদিকে মাঠের বাইরের মতো মাঠের সমীকরণ নিয়ে সরগরম ফুটবল দুনিয়া। সোনি নর্ডি খেলতে না পারায় মোহনবাগানকে জয় এনে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ফরোয়ার্ড লাইনেরই। অর্থাত এদিন নজরে থাকবেন ডিপান্ডা ডিকা আর হেনরি কিসেকা। প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, এই মুহূর্তে আই লিগের অন্যতম সেরা অ্যাটাকিং কম্বিনেশন ডিকা-হেনরি। এবারের কলকাতা লিগে একসঙ্গে খেলায় বোঝাপড়া খুব সুন্দর দু’জনের মধ্যে। নিজেদের শক্তি ও দুর্বলতা পরস্পরের ভালই জানা। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “ডিকা খুব ভাল ফর্মে রয়েছেন। আদর্শ টিম প্লেয়ার বলতে যা বোঝায় ঠিক তাই। হোল্ড আপ প্লে ভাল। বিপক্ষ ডিফেন্ডারদের কোনওসময় নিশ্চিন্তে থাকতে দেয় না। একইসঙ্গে ফিনিশও করতে পারে। আবার সেকেন্ড ফরোয়ার্ড যদি ভাল পজিশনে থাকে তাহলে তাকে ফাইনাল পাস দিয়ে গোলও করাতে পারে। হেনরি আবার এমন এক ফরোয়ার্ড যে প্রচুর ওয়ার্কলোড নেয়। ক্রমাগত উপর-নিচ করে। সেট পিস পরিস্থিতিতেও দলের জন্য খুব ভরসার। ফিনিশার হিসেবেও নিঁখুত।”
প্রাক্তন ফুটবলারের চোখে আবার ডিফেন্সই ইস্টবেঙ্গলের দুর্বলতা। আই লিগে প্রায় ধারাবাহিকভাবে গোল খাচ্ছে দল। তবে তিনি মনে করছেন এই নড়বড়ে ডিফেন্সেও নজর কাড়বেন বোরহা গোমেজ। বলছেন, “ওদের প্রায় সব ম্যাচে যেখানে জনি অ্যাকোস্টার মতো বিশ্বকাপার নিষ্প্রভ, সেখানে বোরহা কিন্তু নীরবে নিজের কাজটা করছে। আসলে ডিফেন্সে খেলতে হলে তোমাকে লিডার হতে হবে। বোরহার মধ্যে সেই কোয়ালিটি আছে। বোরহার সবচেয়ে বড় গুণ এরিয়াল বল সামলাতে পারে। হেড খুব ভাল। ট্যাকলও সুন্দর করে। আবার গতিও আছে।” ডিফেন্সে যদি বোরহা ভরসা হয় তাহলে নিঃসন্দেহে ইস্টবেঙ্গল মাঝমাঠের আসল অস্ত্র এখন কাশিম। দারুণ বল ডিস্ট্রিবিউশন করেন। নিখুঁত পাস দিয়ে থাকেন। এদিন তাই ডিকা বনাম বোরহা লড়াই-ই ডার্বির ভাগ্য গড়ে দেবে বলে মত প্রসূনের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.