ইস্টবেঙ্গল: ১(মার্কোস)
রেনবো: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হারলেই লিগের লড়াই থেকে ছিটকে যেতে হবে। এই পরিস্থিতিতে খেলতে নেমে এদিন চমকপ্রদ পারফরম্যান্স দেখাতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু, অনেক সময় পারফরম্যান্সের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায় ফলাফল। যা কিনা এদিন ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গেই রইল। ঘরের মাঠে নিউ ব্যারাকপুর রেনবোকে হারিয়ে ঘরোয়া লিগ জয়ের আশা জিইয়ে রাখল লাল-হলুদ শিবির। জয়ের ফলে ৯ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ থাকা পিয়ারলেসের ঘাড়ে নিশ্বাস নেওয়া শুরু করল আলেজান্দ্রোর ছেলেরা।
আগেরদিন মোহনবাগান-মহামেডান ম্যাচ যখন চলছিল তখন টিভি থেকে চোখ সরাননি আলেজান্দ্রো। আসলে তিনি জানতেন, ঘরোয়া লিগের প্রেক্ষিতে মরশুমের প্রথম মিনি ডার্বি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চোখের সামনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের লিগ জয়ের সব আশা শেষ হতে দেখে এদিন অতিরিক্ত সতর্ক হয়েই মাঠে নামেন ‘আলে স্যারের’ ছেলেরা। কিন্তু ওই বাড়তি সতর্কতাতেও খুব একটা লাভ হল না। দুর্বল রেনবোর বিরুদ্ধে কোনওক্রমে ১-০ গোলে জিতল লাল-হলুদ শিবির। তাও আবার ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে পেনাল্টি থেকে।
লিগের শুরুতে কোচ প্রশান্ত চক্রবর্তী রেনবোকে ডুবিয়ে দেওয়ার পর ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে সৌমিক দে’র হাতে দলের দায়িত্ব। সৌমিকের ছেলেরা এদিন দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই দিলেন। কঠিন প্রতিপক্ষকে এদিন এক বিন্দু জমি ছাড়েননি রেনবো ফুটবলাররা। কর্দমাক্ত মাঠে এদিন শুরু থেকেই আক্রমণের পথে হাঁটে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু, রেনবোর রক্ষণ ভেদ করে গোলের সুযোগ তৈরি হচ্ছিল না। অবশেষে, সেই সুযোগ আসে ৩৫ মিনিটে। রেনবোর রক্ষণের সামান্য ভুলে পেনাল্টি পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। মার্কোস মার্টিন পেনাল্টি স্পট থেকে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন। এরপর দু’পক্ষই বেশ কয়েকটি আক্রমণ শানায়। কিন্তু, কোনওপক্ষই তা কাজে লাগাতে পারেনি। ম্যাচ শেষ হয় ১-০ গোলে। জয়ের ফলে লিগের লড়াইয়ে নিজেদের টিকিয়ে রাখল লাল-হলুদ শিবির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.