সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার থেকেই মরশুমের প্রথম ডার্বির টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছিল। আর প্রথমদিনই পড়ে যায় হাহাকার। দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ শুক্রবার সেই হাহাকার বিক্ষোভে পরিণত হল। এদিন যুবভারতীর ১ নম্বর গেট এবং মোহনবাগান ক্লাবে টিকিট কাটতে ভিড় জমান ফুটবল সমর্থকরা। কিন্তু টিকিটের চাহিদা মেটাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর সেই কারণেই এদিন শুরু হয় বিক্ষোভ।
মরশুমের প্রথম ডার্বি বলে কথা। তার উপর চলতি কলকাতা লিগে এখন একই পয়েন্ট মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের। সুতরাং একটা ডার্বিই যে একপ্রকার লিগের ভবিষ্যৎ বলে দেবে, তা বলাই যায়। এমন অবস্থায় ফুটবলপ্রেমীদের উন্মাদনা তুঙ্গে। তাই বৃহস্পতিবার টিকিট বিক্রি শুরু হতেই যুবভারতী, ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান ক্লাবে লম্বা লাইন পড়ে যায়। একই ছবি আইএফএ অফিসের সামনেও। চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে প্রথমদিন কাউকেই দুটোর বেশি টিকিট দেওয়া হয়নি। অনেককে খালি হাতেও ফিরতে হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামতে হয়েছে পুলিশকে। এমনকী আইএফএ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায় যে টিকিট প্রায় শেষ। আইএফএ ও যুবভারতী থেকে টিকিট পাওয়া যাবে না। অনলাইন বিক্রিও বন্ধ।
দ্বিতীয় দিনের চেহারাটা আরও ভয়ংকর। আইএফএ-র বিজ্ঞপ্তি সত্ত্বেও এদিন সাতসকালে যুবভারতীতে টিকিট কাটতে পৌঁছে গিয়েছিলেন সমর্থকরা। যাঁদের মধ্যে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে অনেককেই। এদিকে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মোহনবাগান ক্লাবে টিকিট বিক্রি শুরুর কথা ছিল। কিন্তু লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে টিকিট পাননি বলে অভিযোগ। আসলে অনেকেই ভেবেছিলেন অন্যান্যবারের মতো বড় ম্যাচে ৪৮ ঘণ্টা আগে অন্তত টিকিট পেতে অসুবিধা হবে না। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি অন্যরকম। সবমিলিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। আইএফএ-র তরফে ৬৬ হাজার টিকিট ছাড়া হলেও তার বেশ খানিকটা সংরক্ষিত রয়েছে দুই ক্লাবের কর্তা, সদস্য-প্রমুখের জন্য। বাকি টিকিটে ভিড় সামাল দেওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে রবিবাসরীয় যুবভারতী যে কানায়-কানায় পূর্ণ থাকবে তা ময়দানের এই চেহারাটাই বলে দিচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.