স্টাফ রিপোর্টার: এটিকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে আইএসএলের মঞ্চে পা রাখতে চলেছে মোহনবাগান। ফলে আগামী মরশুম থেকে আর আই লিগে দেখা যাবে না গঙ্গাপারের ক্লাবকে। মোহনবাগানের এই পদক্ষেপের পর থেকেই আইএসএলে যোগ দেওয়ার জন্য নানা পরিকল্পনা-আলোচনা করে চলেছে পড়শি ক্লাবও। তবে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারশনের (AIFF) সচিবের মতে, তাড়াহুড়োর প্রয়োজন নেই। আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করেই নয়া লিগে আসুক ইস্টবেঙ্গল।
সোমবার বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের উদ্যোগে এক ওয়েবিনার-এ ফেডারেশনের সচিব কুশল দাস বলেন, “তাড়াহুড়োর কী আছে? ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেলুক তা আমরাও চাই। এবছর যদি যাবতীয় নিয়ম-কানুন পালন করতে তারা অক্ষম হয়, তাহলে পরের বছর খেলবে। আসলে আমি চাই আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়ার পর ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেলুক।”
এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই কুশল দাস বুঝিয়ে দিলেন, এবছর ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলা নিয়ে তিনিও সংশয়ে। করোনা মহামারীর জেরে এবছর আইএসএল (ISL) হবে গোয়ায়। এবং আই লিগের (I League) সমস্ত ম্যাচ হবে কলকাতায়। এদিকে, জাতীয় দল প্রসঙ্গে ওয়েবিনারে ফেডারেশন সচিব জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে জাতীয় কোচ হিসাবে একজন ভারতীয়কে দেখতে চান। “আমরা বেশ কিছু কোচকে নির্বাচন করে জার্মানি বা নেদারল্যান্ডে পাঠাব। তাঁরা সেখান থেকে কোচিং নিয়ে এসে ভারতীয় ফুটবলকে সমৃদ্ধ করবেন,” জানান কুশল।
ওয়েবিনারে ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সুব্রত দত্ত। তাঁর মতে, “তৃণমূল স্তরে ফুটবলার তুলে আনার যাবতীয় চেষ্টা চালানো হচ্ছে। জুনিয়র আই লিগ খেলে ২০২টি দল। বেবি লিগ খেলে প্রায় চার হাজার দল। আশা করছি, এবার আমরা নিজেদের যোগ্যতায় জুনিয়র বিশ্বকাপ খেলতে পারব।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেন্টার অব এক্সেলেন্সের জন্য ১৫ একর জমি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদও জানান সুব্রত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.