স্টাফ রিপোর্টার: মোহনবাগানের পথ ধরে এগিয়ে এল ইস্টবেঙ্গলও। লাল-হলুদ ক্লাবের পক্ষ থেকে কর্তারা জানিয়ে দিলেন, তাঁরাও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান। মোহনবাগান (Mohun Bagan) দিয়েছিল ২০ লাখ টাকা। ৩০ লাখ টাকা দেওয়ার অঙ্গীকার করল ইস্টবেঙ্গল। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, আরও বাড়তি অর্থ দান করার পথে তারা এগোবে।
এখবর জানিয়ে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য দেবব্রত সরকার বলেন, “করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন মনে করছি আমরা। অতীতে ইস্টবেঙ্গল বরাবর বিপন্ন রাজ্যবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হতে আমরা রাজি নই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ৩০ লাখ টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করব। সেই টাকা আমরা আগামী সপ্তাহে তুলে দিতে চাই। তবে এখানেই আমরা থেমে থাকছি না। চেষ্টা করব আরও বাড়তি টাকা সংগ্রহ করে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তুলে দিতে। সেই পরিমাণ যাতে ১০ লাখে গিয়ে দাঁড়ায় তার চেষ্টা করা হবে। সবমিলিয়ে ৪০ লাখ টাকা দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য।”
তাছাড়া ক্লাবের পক্ষ থেকে ঠিক করা হয়েছে, ক্লাব সদস্যরা ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহের উদ্দেশ্যে জনসাধারণের কাছে যাবেন। সেই ত্রাণ তুলে দেওয়া হবে সাধারণ গরিব মানুষের হাতে। ময়দান শুধু দুই প্রধানের অর্থদানে থেমে থাকল না। সাহাযে্যর হাত বাড়িয়ে দিল ফুটবলাররাও। মোহনবাগান তথা এটিকে-তে খেলা প্রীতম কোটাল, প্রবীর দাসরা ৫০ হাজার টাকা করে দিচ্ছেন। দিচ্ছেন প্রণয় হালদারও। সেই সঙ্গে তাঁরা ‘প্লেয়ার্স ফর হিমিউনিটি’ গ্রুপে অর্থ দান করার জন্য আবেদন করেছেন। এছাড়া ভবানীপুরের কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি দু’দিনের বেতন দান করবেন। কোচ হিসাবে শঙ্করলালের এই দান নিঃসন্দেহে ময়দানে বড় দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন বা বিওএ ঠিক করেছে, দু’লাখ টাকা তারা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেবে। তাছাড়া রাজ্য অ্যাথলেটিক্স সংস্থা এক লাখ দিলেও এরিয়ান ক্লাবের পক্ষে দু-লাখ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.