সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধে হয়! প্রচলিত এই বাংলার প্রবাদটা যে ব্রাজিলিয়ানরা জানেন না তা নির্দ্বিধায় বলা যায়। কিন্তু শুক্রবার রাতে তাদের সঙ্গে যেটা হল, তাতে এই প্রবাদটা অনায়াসেই খেটে যায়।
আশঙ্কা ছিল, ডমিনিক লিভাকোভিচের হাতেই আটকে যাবে সেলেকাও ক্যানারিনহো ব্রিগেডের যাবতীয় আক্রমণ। বাস্তবেও হল সেটাই। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকে পেনাল্টি শুটআউট- একা কুম্ভ হয়ে ক্রোয়েশিয়ার দুর্গ আগলে রাখলেন এই ৬ ফুট ১ ইঞ্চির গোলকিপার। আর একা হাতে ক্রোয়েশিয়াকে তুলে নিয়ে গেলেন সেমিফাইনালে। তাও আবার ধারে-ভারে এগিয়ে থাকা ব্রাজিলকে (Brazil) নকআউট করে।
ক্রোয়েশিয়ার (croatia) প্রাক্তন গোলকিপার ড্যানিয়েল সুবাসিচকে আদর্শ মানেন লিভাকোভিচ। জাতীয় দলে একসঙ্গে খেলার সুবাদে খুব কাছ থেকে সুবাসিচকে দেখেছেন তিনি। চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপের ডাগআউটে দাঁড়িয়ে দেখেছিলেন, কীভাবে একের পর এক ম্যাচে পেনাল্টি শুটআউটে প্রতিপক্ষের শট ঠেকিয়ে ক্রোয়েশিয়াকে প্রথমবারের জন্য বিশ্বকাপ ফাইনালে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন সুবাসিচ। কাতারের মাটিতে একেবারেই পূর্বসূরির পথ ধরে চলছেন লিভাকোভিচ।
Croatia’s hero… again! 🇭🇷🧤#FIFAWorldCup | #Qatar2022 pic.twitter.com/w8QroYs2aJ
— FIFA World Cup (@FIFAWorldCup) December 9, 2022
এর আগে স্পেন ম্যাচে পেনাল্টি শুটআউটে তিন-তিনটে শট ঠেকিয়েছেন লিভাকোভিচ। শুক্রবার ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ঠেকালেন আরও একটি। রাশিয়া বিশ্বকাপে সুবাসিচও প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের শুটআউটে তিনটি এবং কোয়ার্টার ফাইনালে একটি শট ঠেকিয়েছিলেন। কাকতালীয়ভাবে, দুই গোলকিপারের পথ যেন মিলে গেল এদিন। এদিন অবশ্য শুধু টাইব্রেকার নয়, ম্যাচেও অপ্রতিরোধ্য ছিলেন লিভাকোভিচ। ১২০ মিনিটের লড়াইয়ে ১১টা শট ঠেকিয়েছেন তিনি, যার মধ্যে ৪টি শট একা নেইমারের। বলা যায়, তাঁর লড়াইয়ের জন্যই ম্যাচে ছিল ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচ শেষে লিভাকোভিচ বলে গেলেন, “এটা কি স্বপ্ন? সত্যিই তাই। আমরা ১২০ মিনিট লড়াই করেছি। যেভাবে শেষ ম্যাচে লড়েছি। শেষ পর্যন্ত পেনাল্টিতে জিতলাম। এজন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। এবার আমরা পরের ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.