নর্থইস্ট ইউনাইটেড: ২ (৩)
ইস্টবেঙ্গল: ২ (৫)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন বদলে যাওয়া ইস্টবেঙ্গল। এ যেন হার না মানা ইস্টবেঙ্গল। যে সাফল্যের জন্য, তদুপরি যে মানসিকতার অপেক্ষায় লাল-হলুদ জনতা এতদিন চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় ছিলেন, কার্লেস কুয়াদ্রাত যেন স্বপ্নের কাণ্ডারী হয়ে সমর্থকদের সেই অদম্য জেদ উপহার দিয়ে গেলেন। ইস্টবেঙ্গল দেখিয়ে দিল এভাবেও ফিরে আসা যায়। পেনাল্টিতে নর্থইস্টকে হারিয়ে ডুরান্ডের ফাইনালে উঠে গেল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)।
ম্যাচের শুরুটা হয়েছিল নর্থইস্টের (NorthEast United) দাপুটে পারফরম্যান্স দিয়েই। এদিন নতুন ফর্মেশনে খেলতে নেমে শুরুর দিকে কেমন ছন্দহীন মনে হচ্ছিল ইস্টবেঙ্গলকে। যার সুবাদে ম্যাচের ২২ মিনিটেই এগিয়ে যায় নর্থইস্ট। ফাল্গুনির বাড়ানো ক্রস থেকে অনবদ্য গোলে উত্তরপূর্বের দলটিকে এগিয়ে দেন জাবকো। গোল হজম করার পর খানিকটা পালটা প্রত্যাঘাতের চেষ্টা করে লাল-হলুদ। কিন্তু প্রথমার্ধে গোল শোধ করা যায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও প্রথমার্ধের মতোই হয়। এবারেও শুরুর দিকটা দাপট দেখায় নর্থইস্ট। ৫৭ মিনিটে অনবদ্য গোল করে ব্যবধান ২-০ করে দেন ফাল্গুনি। কিন্তু তারপরই শুরু হয় ইস্টবেঙ্গলের স্বপ্নের প্রত্যাবর্তনের লড়াই। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর কীভাবে ফিরে আসতে হয়, সেটা যে এই ইস্টবেঙ্গলকে কার্লেস কুয়াদ্রাত শিখিয়ে দিতে পেরেছেন, সেটা এদিন আরও একবার লাল-হলুদ ফুটবলাররা দেখিয়ে দিলেন। প্রথমে ৭৭ মিনিটে দীনেশের আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান কমায় ইস্টবেঙ্গল। তারপর ঠিক যখন মনে হচ্ছিল খেলা বুঝি শেষের দিকে, তখনই চূড়ান্ত আঘাত ইস্টবেঙ্গলের। ইনজুরি টাইমের শেষ মিনিটে ডার্বির নায়ক নন্দকুমার সমতায় ফেরান লাল-হলুদকে।
নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ হওয়ার পর খেলা গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে। পেনাল্টিতে ৫-৩ গোলে জিতল ইস্টবেঙ্গল। ১৯ বছর আগে শেষবার ডুরান্ড (Durand Cup) জিতেছিল লাল-হলুদ শিবির। এবার সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করার পালা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.