ইস্টবেঙ্গল: ২ (স্যান্টোস, বিদ্যাসাগর)
আর্মি রেড: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমার্ধ আর দ্বিতীয়ার্ধের ছবিটা একেবারে বিপরীতধর্মী। প্রথম ৪৫ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলকে দেখে বেশ দুর্ভাগাই মনে হচ্ছিল। আর্মি রেডের ডেরায় মুহুর্মুহু আক্রমণ। বার পোস্ট লেগে বারবার ফিরল বল। তবে কি ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে জয় অধরা থাকবে? প্রথমার্ধ শেষে এমন প্রশ্নই কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিল লাল-হলুদ সমর্থকদের। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ভাগ্যদেবী একটু বেশই সহায় হয়ে পড়লেন শতবর্ষে পা দেওয়া ক্লাবের প্রতি। ভাল পারফরম্যান্সের মূল্য পেল দল। আর্মি রেডকে হারিয়েই ১২৯ তম ডুরান্ড কাপ অভিযান শুরু করল আলেজান্দ্রো অ্যান্ড কোং।
ডুরান্ডে সিনিয়র দল নামানো হবে নাকি জুনিয়র। দিনকয়েক আগেও এনিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। তবে সেনার অনুরোধে শেষমেশ পূর্ণ শক্তি নিয়েই মাঠে নামার কথা ঘোষণা করেছিলেন কোচ আলেজান্দ্রো। আর শুরুতেই এল সাফল্য। শতবর্ষ উদযাপনের রেশ কাটিয়ে দল যে পুরোপুরি খেলায় মনোনিবেশ করেছে, তা এদিনের পারফরম্যান্স থেকে স্পষ্ট। প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণ শানিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন বইথাং, রালতেরা। মিনিট কুড়ির মধ্যেই দুবার গোললাইন সেভ করে দলকে রক্ষা করেন আর্মি রেডের গোলকিপার শানুস। তবে আক্রমণের ঝাঁজ এতটুকু কমায়নি ইস্টবেঙ্গল ফরোয়ার্ড। স্যান্টোসের ফ্রি-কিক বারে লেগে ফিরে আসে। কয়েক মিনিট পর ফের কোনওক্রমে রক্ষা পায় প্রতিপক্ষ। ডিকার বাড়ানো বল থেকে বইথাংয়ের শট ফের বার পোস্ট ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। লাল-হলুদের লাগাতার আক্রমণের সামনে রক্ষকের ভূমিকায় ছিল শানুসের জোড়া গ্লাভস। কিন্তু প্রথমার্ধের নায়কই দ্বিতীয়ার্ধে খলনায়ক হয়ে গেলেন।
বক্সের ভিতর বিদ্যাসাগরকে ফেলে দেওয়ায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হল আর্মি রেডের গোলকিপারকে। আর এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেই জোড়া গোল করল ইস্টবেঙ্গল। ফ্রি-কিক থেকে বল জালে জড়ান স্যান্টোস। এবং প্রতিপক্ষের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন বিদ্যাসাগর। শুক্রবার মহামেডানকে ২-০ হারিয়ে ডুরান্ড অভিযান শুরু করেছিল মোহনবাগান। এদিন শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গলও মরশুমের শুরুটা করল ভক্তদের মুখে হাসি ফুটিয়েই। জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে লাল-হলুদের দলগত সাফল্য নিঃসন্দেহে স্বস্তি দিচ্ছে আলেজান্দ্রোকে। আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে গোটা দলকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.