ছবি: সোশাল মিডিয়া।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কার্লেস কুয়াদ্রাত (Carles Cuadrat) কোচ হয়ে আসার পর সেট-পিসে অনেক বৈচিত্র্য এসেছে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) খেলায়। এবার থ্রো-ইন ব্যবহারের ক্ষেত্রেও অভিনবত্বকে হাতিয়ার করছেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। রবিবার ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে মরা-বাঁচার ম্যাচ। তার আগে শেষ প্র্যাকটিস সেশনে দেখা গেল সেই দৃশ্য।
প্রতিপক্ষের বক্সে নিশু কুমারের করা থ্রো কাজে লাগিয়ে আক্রমণে উঠছে দল। কখনও ভিক্টর ভাসকুয়েজের আড়াল থেকে এসে বল নিচ্ছেন ক্লেটন সিলভা। আবার কখনও সেই ভূমিকায় মহেশ সিং নাওরেম। আসলে শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরু (Bengaluru FC) রুখে দিয়েছে ওড়িশা এফসি-কে। সেই তথ্য মাথায় রেখেই প্রতিপক্ষ সম্পর্কে সাবধানী কুয়াদ্রাত। বলছিলেন, “জেরার্ড জারাগোজা আমার পুরোনো বন্ধু। ও আসার পর বেঙ্গালুরুর খেলায় অনেক উন্নতি হয়েছে। ওদের হালকাভাবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই।”
বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে এগিয়ে থেকেও হারতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। তিন পয়েন্টের লক্ষ্যে নামলেও বদলার কোনও ভাবনা নেই কোচ কুয়াদ্রাতের। গত মরশুমে বেঙ্গালুরুর সঙ্গে দুই সাক্ষাতেই জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। দু’ম্যাচ মিলিয়ে দলের তিনটি গোল করেছিলেন ক্লেটন সিলভা। ঘরের মাঠে লিগের শেষ ম্যাচে নামার আগে চোট সমস্যা প্রায় কাটিয়ে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল।
সল ক্রেসপো, লালচুংনুঙ্গা, মহেশরা পুরো ফিট। মোটামুটি কেরালা ব্লাস্টার্স ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের দলটারই রবিবাসরীয় যুবভারতীতে শুরু থেকে খেলার সম্ভাবনা বেশি। তবে ফুটবলারদের ‘ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট’ করাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ কুয়াদ্রাতের। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলার দিন তিনেক পরই ফের মাঠে নামছে দল। ফুটবলারদের ক্লান্তি প্রসঙ্গে লাল-হলুদ কোচ বলছিলেন, “আমাদের পরপর ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। সবে কোচি থেকে ফিরলাম। বেঙ্গালুরু ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য বেশি সময় পাইনি। তবে ফুটবলাররা নিজেদের সেরাটা দিতে তৈরি। আমাদের মাথায় পুরো পয়েন্ট ছাড়া অন্য কোনও ভাবনা নেই।”
আজ আইএসএলে
ইস্টবেঙ্গল বনাম বেঙ্গালুরু এফসি
যুবভারতী, সন্ধ্যা ৭.৩০
স্পোর্টস ১৮
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.