Advertisement
Advertisement
Harry Kane

শাপমুক্তি! কেরিয়ারের প্রথম খেতাবি স্বাদ হ্যারি কেনের, বুন্দেশলিগা চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ

৩৪তম বুন্দেসলিগা শিরোপা জিতে নিল জার্মান ক্লাব।

Harry Kane tastes first title of his career, Bayern Munich are Bundesliga champions

ফাইল ছবি

Published by: Prasenjit Dutta
  • Posted:May 5, 2025 9:15 am
  • Updated:May 5, 2025 2:12 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে শাপমুক্তি। কিংবা সেকেন্ড বয় থেকে ফার্স্ট বয় হিসেবে উঠে আসা। হয়তো এভাবেই ব্যাখ্যা করা যায় এই সময়ের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার হ্যারি কেনকে। দীর্ঘ কেরিয়ারে প্রথম খেতাবি স্বাদ পেলেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ফুটবলে ১৪টা মরশুম পর অবশেষে ‘প্রথম’ এই ইংরেজ ফুটবলার। লম্বা অপেক্ষা বোধহয় এভাবেই ফুরোয়। রবিবার ফ্রেইবার্গ বনাম দ্বিতীয় স্থানে থাকা বায়ার লেভারকুসেনের ম্যাচ ২-২ গোলে ড্র হওয়ায় বুন্দেশলিগা চ্যাম্পিয়ন হয় হ্যারি কেনের দল বায়ার্ন মিউনিখ। তবে, একটাই আফসোস। কেরিয়ারের প্রথম শিরোপা জয়ের উৎসবটা মাঠে করা হল না তাঁর। যদিও বহু প্রতীক্ষিত ট্রফি জয়ের পর হয়তো এসব মনে রাখার সময় হ্যারি কেনের কাছে নেই।

টটেনহাম ও বায়ার্নের হয়ে রানার্সআপ হয়েছিলেন। পেয়েছেন সর্বোচ্চ গোলদাতার সম্মান। কিন্তু বড় শিরোপা জয়ের কাছাকাছি এসে বারবার তাঁকে ফিরতে হয়েছে। ২০২৩-এ তিনি সই করেন বায়ার্ন মিউনিখে। তবে সেই মরশুমে কোনও ট্রফিই জিততে পারেনি বায়ার্ন। অনেকেই তারপর বলতে শুরু করেন, কেন হয়তো ‘দুর্ভাগ্য’ বয়ে এনেছেন বায়ার্নেও। পারফরম্যান্স করে এর জবাব দিয়েছেন। ২৪টি গোল করে বুন্দেশলিগার স্কোরারদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন তিনি। আর এবার শিরোপা জিতে বায়ার্নে আসার দ্বিতীয় মরশুমকে ‘পয়মন্ত’ করে রাখলেন হ্যারি।

Advertisement

গত সপ্তাহে আগসবুর্গের বিপক্ষে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন। সেই কারণে আরবি লাইপজিগের বিপক্ষে শনিবার খেলতে পারেননি তিনি। রুদ্ধশ্বাস সেই ম্যাচটি ৩-৩ গোলে অমীমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। অথচ ম্যাচটির ৮৩ মিনিটে জসুয়া কিমিচের ঠিকানা লেখা পাস থেকে জোরালো শটে দলকে বায়ার্নকে এগিয়ে দিয়েছিলেন লেরয় সানে। গ্যালারিতে তখন উৎসবের প্রস্তুতি। সবাই যখন ধরেই নিয়েছিলেন বুন্দেশলিগার শিরোপা জিততে চলেছে বায়ার্ন মিউনিখ, ঠিক তখনই অতিরিক্ত সময় (৯০+৪) খেলার গতির বিরুদ্ধে গিয়ে গোল করেন ইউসুফ পলসেন। তাই খেতাবি অপেক্ষা বেড়েছিল হ্যারি কেন তথা বায়ার্ন মিউনিখের।

শনিবার ম্যাচের পর সতীর্থ টমাস মুলার ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ‘পরের সপ্তাহে, হ্যারি!’ যদিও অত দিন অপেক্ষা করতে হল না। লাইপজিগ ম্যাচের পরের দিনই অপেক্ষার অবসান ঘুচিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নশিপ স্বাদ পেয়ে গেলেন হ্যারি কেন। শিরোপা নিশ্চিত করতে বায়ার লেভারকুজেনের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া উপায় ছিল না। তারা পয়েন্ট খোয়ালেই চ্যাম্পিয়ন হত বায়ার্ন। রবিবার লেভারকুজেন ম্যাচ ড্র করতেই ৩৪তম বুন্দেশলিগা শিরোপা জিতে নেয় বায়ার্ন মিউনিখ। আর তার সঙ্গে সঙ্গে ‘শাপ’ মুক্ত হয়ে হ্যারি কেন জিতে নেন জীবনের প্রথম বড় ট্রফি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement