স্টাফ রিপোর্টার: তিনি না থেকেও আছেন। আলেজান্দ্রোই বারবার তাঁর নাম নিচ্ছেন। তিনি মানে ইস্টবেঙ্গলের কোলাডো। ডিসিপ্লিনারি কমিটির মিটিং না হওয়ায় শনিবার ট্রাউয়ের বিরুদ্ধে খেলতে পারছেন না তিনি। ফলে দলে চাপ তো আছেই। কিন্তু আলেজান্দ্রোর মাথায় এখন থেকেই ঘুরছে ডার্বির কথা। ২০ ডিসেম্বর ডিসিপ্লিনারি কমিটির সিদ্ধান্তে অন্যরকম কিছু হলে ডার্বি খেলতে পারবেন না স্প্যানিশ তারকা। যা লাল-হলুদের কাছে ভয়ংকর দুঃসংবাদ। আর সেই কারণেই ট্রাউ ম্যাচে তিনি না থাকলেও আলোচনায় রয়েছেন।
এমনিতে আই লিগের দুর্বলতম দল ট্রাউ। তার উপর কোচ নিয়ে জেরবার তারা। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের আগেরদিনও ফুটবলাররা জানেন না, শনিবার তাঁদের কোচ কে। এফসির যে লাইসেন্স থাকলে আই লিগে কোচিং করানো যায়, তা নাকি ডগলাসের নেই। ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন সেই লাইসেন্সকে ভারতে কোচিং করানোর জন্য মঞ্জুর করছে না। ট্রাউয়ের তরফে ফেডারেশনের কাছে আবেদন নিবেদন চলছে। মোহনবাগান ম্যাচে ফুটবলার তালিকায় কোচের নামই রাখতে পারেনি ট্রাউ। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচেও সম্ভবত এরকমই হচ্ছে। শুক্রবার প্রথাগত সাংবাদিক সম্মেলনে দেখা গেল সহকারী কোচ সুরমনি সিংকে। যিনি স্বীকার করলেন, ধারে-ভারে তাঁদের থেকে অনেক এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল। তাহলে দু’ম্যাচে পাঁচ গোল খাওয়া ট্রাউয়ের উপায়? সুরমনি বললেন, “ইস্টবেঙ্গলকে আটকানোর চেষ্টা করতে হবে। আমরা কোনওমতে দল তৈরি করেছি। ইস্টবেঙ্গল সেখানে ব্যালান্সড দল।” পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল বলে প্রথম দুটো ম্যাচে খেলতে পারেননি অভিষেক দাস। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ থেকে তিনি শুরু করছেন।
ট্রাউ নিজেদের আন্ডারডগ মনে করলেও আলেজান্দ্রো তেমনটা মানতে নারাজ। বললেন, “কোনও দলই দুর্বল নয়। ওদের কয়েকজন ভাল বিদেশি আছে। তাই ম্যাচ সহজ হবে না।” রিয়াল কাশ্মীর এবং মিনার্ভার কাছে পয়েন্ট হারানোর পর নেরোকার বিরুদ্ধে জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। ফলে খানিকটা চাপ কমেছে ড্রেসিংরুমে। তাহলে কি অন্ধকার পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠল ইস্টবেঙ্গল? আলেজান্দ্রোর কথায়, “আমার মনে হয় না কোনওদিন অন্ধকার পরিস্থিতিতে ছিলাম। যদি প্রথম দুটো ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর কথা বলেন, তাহলে বলব, আই লিগ সবে শুরু হয়েছে। শুরুতে এমন হতেই পারে। একে অন্ধকার পরিস্থিতি বলা যায় না।”
তবে কোলাডো না থাকার আক্ষেপ ঝড়ে পড়ছে আলেজান্দ্রোর গলায়। বলেন, “মিনার্ভা ম্যাচে কোলাডোর একটি শট গোলে ঢোকার মুখে বিপক্ষের একজন ফুটবলারের হাতে লাগে। রেফারি কোনও সিদ্ধান্ত না জানানোয় ম্যাচ শেষে হতাশ কোলাডো সজোরে বলে লাথি মারে। যা মাঠের বাইরে থাকা বলবয়দের গায়ে লাগতেও পারত। তবে পুরোটাই ছিল অনিচ্ছাকৃত। যে কারণে, ব্যাপারটা আমাদের সত্যিই অবাক করেছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.