সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা লিগের মহামেডান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ নিয়ে ফের বৈঠক ডাকল আইএফএ। ১৮ অক্টোবর বিষয়টি নিয়ে ফের আলোচনা হবে বলে জানানো হয়েছে বঙ্গ ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার তরফে। বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে মহামেডানকে। পাশাপাশি লিগের পয়েন্ট টেবলে অবস্থানের বিষয় থাকায় বৈঠকে ডাকা হয়েছে ডায়মন্ডহারবার এফসি-কেও। সঙ্গে সূচি অনুযায়ী ১৪ অক্টোবর ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে তাদের।
আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেন, “মহামেডান নিজেদের বক্তব্য জানানোর জন্য ফের সুযোগ চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। তাই আমরা আবার বৈঠক ডাকছি। আর ডায়মন্ডহারবার এফসি চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে ওদের লিগে অবস্থানের বিষয়টি জড়িয়ে আছে। তাই ওদেরও ডাকা হয়েছে। সঙ্গে ১৪ অক্টোবরের ম্যাচ খেলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে ডায়মন্ডহারবারকে।”
২০ সেপ্টেম্বর নৈহাটি স্টেডিয়ামে ২-২ গোলে ড্র হয় মহামেডান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ। যদিও সেই ম্যাচে খেলোয়াড় পরিবর্তনের সময় সাদা-কালো শিবির চার ভূমিপুত্রের নিয়ম মানেনি বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই মঙ্গলবার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে দোষী সাব্যস্ত হয় মহামেডান, ড্র হওয়া ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট পায় ইস্টবেঙ্গল। ফলে লিগ টেবলের শীর্ষে থাকা লাল-হলুদের সঙ্গে দু’নম্বর ডায়মন্ডহারবারের পয়েন্টের ব্যবধানে দুই থেকে বেড়ে হয় চার। যদিও বিষয়টি নিয়ে ইস্টবেঙ্গল একটি চিঠি দিলেও নিয়ম মেনে কোনও অভিযোগ জমা করেনি বলেই খবর। বরং আইএফএ চিঠি পাওয়ার পর স্বতোঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করেছে। আইএফএ-র বক্তব্য, চার ভূমিপুত্র খেলানোর বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফলে নিয়ম ভাঙার বিষয়টি জানার পরই পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে লিগের শেষ পর্যায়ে এসে এভাবে পয়েন্ট দেওয়া নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। পর্যাপ্ত সময় না দিয়েই বৈঠকে ডাকা হয়েছে বলে অভিযোগ করে মহামেডান। পাশাপাশি এভাবে পয়েন্ট দেওয়ার প্রতিবাদে লিগে আর ম্যাচ না খেলার সিদ্ধান্ত নেয় ডায়মন্ডহারবার। এমনকি আইএফএ-র কমার্শিয়াল পার্টনার শ্রাচীর তরফেও চিঠি দেওয়া হয় এই বিষয়ে।
এরপরই ফের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক ডাকল আইএফএ। এপ্রসঙ্গে মহামেডানের অন্যতম ডিরেক্টর তথা শ্রাচী কর্তা তমাল ঘোষাল বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই পর্যাপ্ত সুযোগ চেয়েছি নিজেদের কথা তুলে ধরার। আইএফএ সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে, সেটা ইতিবাচক। আমাদের প্রতিনিধি নিশ্চয়ই ওই বৈঠকে উপস্থিত থেকে ক্লাবের বক্তব্য তুলে ধরবেন। ওরা ওদের যুক্তি দেবে, আমরা আমাদের কথা জানাব।” শ্রাচীর লিগাল টিমের তরফে দেওয়া চিঠি মূলত লিগে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্যই বলে দাবি তাঁর। অন্যদিকে ডায়মন্ডহারবার এফসি-র সহ সভাপতি আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “আমি এখনও চিঠি দেখিনি। আইএফএ কী জানিয়েছে, তা দেখে সিদ্ধান্ত নেব।” তবে এই বিতর্কে ঢুকতে নারাজ ইস্টবেঙ্গল। ক্লাব কর্তা দেবব্রত সরকারের বার্তা, “এটা আইএফএ-র বিষয়। এখানে ইস্টবেঙ্গলের কোনও ভূমিকা নেই। আইএফএ তার সংবিধান মেনে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে বলেই আমরা আশাবাদী।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.