ইস্টবেঙ্গল: ১ (দিয়ামান্তাকোস)
জামেশদপুর: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝকঝকে পারফরম্যান্স। ঘরের মাঠে জামশদপুর এফসিকে একপ্রকার অনায়াসেই হারাল ইস্টবেঙ্গল। খেলার ফল ১-০। তবে এদিন যত সুযোগ ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা তৈরি করেছিলেন, তাতে অনায়াসে লাল-হলুদ শিবির ৩-৪ গোলে জিততে পারত।
খাতায় কলমে ইস্টবেঙ্গল দল হিসাবে যথেষ্ট শক্তিশালী। কিন্তু কার্লেস কুয়াদ্রাতের আমলে যেটা সমস্যা হচ্ছিল, সেটা হল দলের আত্মবিশ্বাস, ফিটনেস এবং রসায়নের অভাব। সেই সঙ্গে লাল-হলুদকে ভোগাচ্ছিল ধারাবাহিকতার অভাব। সেই লক্ষ্যে শনিবাসরীয় যুবভারতীতে ঝকঝকে ফুটবল খেলে গেলেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। একের পর এক সুযোগ তৈরি হল। রক্ষণে দুএকবার ফাঁকফোকর তৈরি হলেও সামলে নিলেন ইউস্তে, হিজাজি এবং গিল।
ম্যাচের প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন ক্লেটন, দিয়ামান্তাকস, নন্দরা। উইং প্লে থেকে শুরু করে মাঝমাঠ দিয়ে খেলা তৈরি সবটাই হচ্ছিল, শুধু গোলমুখে গিয়ে কোনও এক অজানা কারণে বারবার ভুল হয়ে যাচ্ছিল। প্রথমার্ধে নন্দ একেবারে ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে পারলেন না। আবার আনোয়ারের জোরাল শট ফিরে এল বারে লেগে। কিন্তু প্রথমার্ধে গোল এল না। দ্বিতীয়ার্ধেও খেলার গতিতে বিশেষ বদল এল না। ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ-জামশেদপুরের মরিয়া ডিফেন্স, দ্বিতীয়ার্ধের বেশিরভাগ সময় কাটল এভাবেই। তবে এবার একটি সুযোগ কাজে লাগালেন দিয়ামান্তাকস। ম্যাচের ৬০ মিনিটে গোলমুখ খুলে দিলেন তিনি। সেটাই ম্যাচের একমাত্র গোল। তবে শেষদিকে দুই দলই আরও সুযোগ পেয়েছিল। বিষ্ণুর অনবদ্য ড্রিবল করে নেওয়া জোরালো শট বারে না লাগলে শেষদিকেও ব্যবধান বাড়াতে পারত ইস্টবেঙ্গল। যা-ই হোক ম্যাচে আর গোল হয়নি।
এদিনের জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলে একধাপ উপরে উঠল লাল-হলুদ শিবির। আপাতত লাল-হলুদের সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট। তবে তার চেয়েও বড় ব্যাপার ইস্টবেঙ্গলে ধারাবাহিকতা ফিরেছে। শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে লাল-হলুদ শিবির হেরেছে মাত্র একটিতে। তাও রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.