ইস্টবেঙ্গল: ২ (হাওকিপ, মহেশ সিং)
ওড়িশা: ৪ (পেড্রো মার্টিন ২, জেরি, নন্দ কুমার)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এভাবেও হেরে যাওয়া যায়! ময়দানের বহু পরিচিত শব্দবন্ধকে একটু বদলে লিখতে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) জন্য। কারণ শুক্রবার ঘরের মাঠে ইস্টবেঙ্গল ওড়িশা এফসির কাছে যেভাবে হারল সেটা চমকপ্রদ কোনও কামব্যাকের মতোই আশ্চর্যজনক। যে দলটা প্রথমার্ধে দু’গোলে এগিয়েছিল, বিপক্ষ দল যে দলের কাছে সেভাবে টেরই তুলতে পারছিল না, সেই দলই কিনা শেষপর্যন্ত মাঠ ছাড়ল একরাশ হতাশা নিয়ে! এভাবে হারাটা হয়তো শুধু এই মুহূর্তের ইস্টবেঙ্গলের পক্ষেই সম্ভব।
ইস্টবেঙ্গল আর ওড়িশা এফসি (Odisha FC) ম্যাচ মানেই গোলের বন্যা। শুক্রবারের আগে দুই মরশুমে চারবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। সব মিলিয়ে হয়েছে ২৮ গোল। শুক্রবার তার সঙ্গে আরও ছ’গোল জুড়ে গেল। আর ওড়িশার খাতায় জুড়ে গেল আরও একটি জয়। জয় হারের বিচারে ১-৪ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ওড়িশা। আসলে আগের ম্যাচে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে যে কাজটা লাল-হলুদ ফুটবলাররা করতে পেরেছিলেন, সেটা তাঁরা পারলেন না ওড়িশার বিরুদ্ধে। আগের ম্যাচে খেলার দুই অর্ধেই সমান দাপট দেখিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু আজ দুই অর্ধে দু’রকম ফুটবল খেলল লাল-হলুদ শিবির।
প্রথমার্ধে লাল-হলুদ ফুটবলাররা ছিলেন নিজেদের সেরা ছন্দে। শুরু থেকেই ছন্দবন্ধ পাস, জমাট মাঝমাঠ এবং দ্রুতগতির আক্রমণ সবই ছিল। যার ফলও পায় ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধেই দু’গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ২৩ মিনিটে প্রথম গোল করেন হাওকিপ। আর মহেশ সিং দ্বিতীয় গোলটি করেন ৩৫ মিনিটে। হাফ টাইম অবধি সেই লিড ধরেও রাখে লাল-হলুদ।
কিন্তু খেলা পুরোপুরি ঘুরে যায় দ্বিতীয়ার্ধে। মাত্র দু’মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল হজম করে ব্যাকফুটে চলে যায় ইস্টবেঙ্গল। ওড়িশার হয়ে ৪৭ এবং ৪৮ মিনিটে জোড়া গোল করেন পেড্রো মার্টিন। ম্যাচে সমতা ফিরতেই লাল-হলুদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ওড়িশা। প্রথমে ৬৫ মিনিটে জেরি এবং পরে ৭৫ মিনিটে নন্দ কুমারের গোলে ওড়িশার জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.