স্টাফ রিপোর্টার: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ষষ্ঠবারের জন্য ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) সচিব হতে চলেছেন কল্যাণ মজুমদার। যা লাল-হলুদের ইতিহাসে রেকর্ড। এর আগে প্রয়াত জে সি গুহ বেশ ক’বার ইস্টবেঙ্গলের সচিব হলেও, কল্যাণ মজুমদারের মতো টানা ৬ বার সচিব ছিলেন না।
প্রয়াত সচিব পল্টু দাসের পর ২০০৩ সালে লাল-হলুদ সচিবের চেয়ারে বসেন কল্যাণ বাবু। শারীরিক অসুস্থতায় কিছুদিন আগে জানিয়েছিলেন নতুন করে আর সচিব হতে চান না তিনি। কিন্তু দেখা গেল, শেষ পর্যন্ত ফের সচিব পদের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কল্যাণ মজুমদার। সচিব-সহ বিভিন্ন পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছে শাসক গোষ্ঠী। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন পার করে যাওয়ায় বিরোধীদের নতুন করে আর মনোনয়ন জমা দেওয়ার উপায় নেই। ফলে বলা যায়, শাসকগোষ্ঠী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই ফের ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ক্ষমতায় আসছে।
শাসকগোষ্ঠীর তরফে যে মনোনয়ন পেশ করা হয়েছে, তাতে বেশ কিছু পদে অদল-বদল করা হয়েছে। যেমন ফুটবল সচিব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজা গুহকে। সেখানে নতুন ফুটবল সচিব হতে চলেছেন সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়। ক্রিকেট সচিব হিসেবে নাম রয়েছে মানস রায়ের। রূপক সাহা মনোনয়ন দিয়েছেন সহ সচিব পদে। ১৮ এবং ১৯ জানুয়ারি মনোনয়ন খতিয়ে দেখা হবে। ২২ জানুয়ারি সরকারি ভাবে ঘোষণা।
তবে এর মধ্যেই উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল, আইএফএর সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কোনও পদে মনোনয়ন না দেওয়া। IFA’র সভাপতি থাকার পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কার্যকরি কমিটির সদস্যও ছিলেন অজিত বাবু। যে ইস্যুতে আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়-সহ আইএফএর সহ সভাপতিরা জানান, মার্চের পর থেকে তাঁরা আর আইএফএর পদে থাকবেন না। হয় অজিত বাবু শুধুই আইএফএর সভাপতি থাকবেন, নাহলে ইস্টবেঙ্গলের কার্যকরি কমিটির সদস্য। লাল-হলুদের কার্যকরি কমিটিতে মনোনয়ন জমা না দিয়ে অজিত বাবু বোঝালেন, তিনি আইএফএর সভাপতি পদেই থাকতে চান। অজিত বাবুর ইস্টবেঙ্গলের নির্বাচনে মনোনয়ন জমা না দেওয়া নিয়ে মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস বললেন, “এই কাজটা অনেক আগেই করা উচিৎ ছিল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.