স্টাফ রিপোর্টার: কলকাতা লিগের প্রতি ম্যাচে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের পুরস্কার মূল্য মাত্র দু’হাজার টাকা! ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ লিগের ম্যাচের সেরার পুরস্কার মূল্য এত কম হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যেই। মোহনবাগান ক্লাবের পক্ষ থেকে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে নিজেদের ম্যাচগুলোতে আইএফএ-র পাশাপাশি ম্যাচের সেরা পুরস্কার দেওয়ার। ইতিমধ্যেই এই পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্তের কাছে। সবুজ-মেরুন কর্তারা চাইছেন লিগে তাদের নিজেদের ম্যাচে আইএফএ যেমন ম্যাচের সেরা বাছাই করে দু’হাজার টাকা পুরস্কার মূল্য তুলে দিচ্ছে, তেমন দেওয়ার পাশাপাশি তারাও আলাদাভাবে সেই ফুটবলারকেই আরও দশ হাজার টাকা মতো আর্থিক পুরস্কার তুলে দেবেন। তবে এটি পুরোটাই ভাবনা-চিন্তার স্তরে রয়েছে।
মোহনবাগান (Mohun Bagan) সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, “আমরা খুব দ্রুত কর্মসমিতির বৈঠক ডেকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। আমি একা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। আমার কাছে এইরকম আলাদা করে ম্যাচের সেরা পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হলে নিশ্চয় আমরা এই পদক্ষেপ নিতে পারি। তবে এটা ঠিক যে দু’হাজার টাকা করে একটা ফুটবলার যদি সেরার পুরস্কার পায়, তাহলে লিগের সম্মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য।”
কেন মাত্র দু’জার টাকা কলকাতা লিগের (Calcutta Football League 2023) মতো দেশের সেরা ঘরোয়া লিগের ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার মূল্য? আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেন, “গতবার আমরা তিরিশ থেকে চল্লিশটা ম্যাচে ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার দিয়েছি। এবার সেখানে ১৯৯ টি ম্যাচে সেরার পুরস্কার দিচ্ছি। স্বাভাবিকভাবে বাজেট একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এটাকে শুধু অর্থ দিয়ে পরিমাপ করলে ভুল হবে। এটা একটা ফুটবলারের পারফরম্যান্সকে সম্মান জানানো। আমরা ভাবনা চিন্তার স্তরে রয়েছি সুপার সিক্স থেকে এই অর্থ যদি দু’হাজার থেকে পাঁচ হাজার করা যায়। একই সঙ্গে এবার থেকে ম্যাচের সেরাকে মেডেল দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে।” মোহনবাগানের আলাদা করে সেরার পুরস্কার দেওয়ার ভাবনাকেও স্বাগত জানিয়েছেন আইএফএ সচিব, “মোহনবাগান যদি এটা করে থাকে তাহলে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।”
রবিবার ম্যাচ প্রধান অতিথি হিসাবে মাঠে এসেছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এমি মার্টিনেজ মোহনবাগানে আসার দিন ক্রীড়ামন্ত্রী উপস্থিত থাকতে পারেননি পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যস্ত থাকার জন্য। তবে এদিন তাঁর হাতে এমি মার্টিনেজের সই করা গ্লাভস তুলে দেন মোহনবাগান কর্তারা। মোহনবাগান মাঠ থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় অরূপ বিশ্বাস বলেন, “এত দর্শক দেখে খবু ভাল লাগছে। মনে হচ্ছে ঠিক যেন ব্রাজিলে বসে খেলা দেখছি। দর্শকরা এতটা ফুটবলাদের সঙ্গে একাত্ম্য হতে পারছেন। এটাই তো কলকাতা ফুটবল।”
মাঠে এসেছিলেন মোহনবাগান সভাপতি টুটু বোস। ম্যাচের শেষে এদিনের হ্যাটট্রিককারী সুহেল ভাটকে শুভেচ্ছা জানান তিনি। টুটু বোস বলেন, “খেলা দেখে মন ভরে গিয়েছে। এদিন আইএফএ সচিব আর ক্রীড়ামন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি তিনটে বড় মাঠেই যেন খেলা দেওয়া হয়।” পাশাপাশি সামান্য খারাপ হওয়া মোহনবাগান মাঠের ফ্লাড লাইটের সারাইয়ের কাজ শেষের মুখে। সবুজ-মেরুন কর্তারা চাইছেন নিজেদের মাঠে সন্ধ্যার দিকে লিগের ম্যাচ খেলতে। এই বিষয়ে ক্রীড়ামন্ত্রীর সামনেই আইএফএ সচিবকে প্রস্তাব দিয়েছেন দেবাশিস দত্ত।
ডুরান্ডে কোন দল খেলবে? এই প্রশ্নে মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, “যে দলটা কলকাতা লিগে খেলছে সেটাকে রিজার্ভ দল বলছি না। এটা আমাদের সাপ্লাই লাইন। এই দলটাই মূল দল হবে। এর সঙ্গে কিছু ফুটবলার যোগ হতে পারে। তবে এটা বলতে পারি ডুরান্ডের সময় যে ফুটবলাররা সেরা অবস্থায় থাকবে, তারাই খেলবে। ”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.