স্টাফ রিপোর্টার: সকালে প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের প্র্যাকটিস। আর সন্ধ্যায় মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনা গেলেন এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে। ঢাকা আবাহনী আর মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ম্যাচ দেখতে। যেখানে ঢাকা আবাহনী সহজেই জিতল। প্রথমার্ধেই তিন গোলে এগিয়ে যায় তারা। রবিবার মোহনবাগান লাওসের ইয়ং এলিফ্যান্টসের বিরুদ্ধে খেলা থাকলেও, পরের ম্যাচেই বেইতিয়ারা খেলবেন মালদ্বীপের দলটার বিরুদ্ধে। তাই প্রতিপক্ষকে দেখে রাখলেন কিবু।
একইসঙ্গে প্রথম ম্যাচের প্রস্তুতিও পুরো সারা হয়ে গিয়েছে। এমনিতেই টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ খুব গুরুত্বপূর্ণ। তার উপর প্রতিপক্ষ খুব একটা চেনা নয়। মোহনবাগান কোচ নিশ্চয়ই চাইবেন দ্রুত গোল তুলে নিতে। খবর নিয়ে যা জানা যাচ্ছে, লাওসের এই দলটায় তেমন বিদেশি নেই। মূলত তারা স্থানীয়দের নিয়ে দল গড়ে। তবে দলের মধ্যে বোঝাপড়া খুব ভাল। মোহনবাগান তাই যথেষ্ট সতর্ক।
বাংলাদেশে টুর্নামেন্টে জেতা যেমন লক্ষ্য, তেমনই আই লিগের জন্য প্রস্তুতি সেরে রাখতে হবে। শেখ কামাল কাপের নিয়মও আই লিগের মতোই। পাঁচজন বিদেশি ফুটবলার খেলানো যাবে। তবে কোন পাঁচজনকে খেলানো হবে, সেটা এখনও ঠিক করতে উঠতে পারেননি মোহনবাগান কোচ। দলে চোট-আঘাত কোনও সমস্যা নেই। শোনা গেল, ডিফেন্সে দুই বিদেশি সাইরাস আর মোরান্তে একসঙ্গে খেলাতে পারেন। আবার নাও পারেন। মাঝমাঠে বেইতিয়ার সঙ্গে ফ্রান গঞ্জালেজ শুরু করতে পারেন। এখন যদি দু’জন বিদেশি ডিফেন্ডারকে একসঙ্গে খেলান কিবু তাহলে কোলিনাস আর সালভা চামোরোর মধ্যে একজনকে খেলাতে হবে। সেক্ষেত্রে হয়তো শুরু থেকে কোলিনাস খেলবেন।
তিনি কলকাতা লিগে একেবারে শেষদিকে এসেছিলেন। ফলে আই লিগের আগে তাঁকে ভাল করে দেখে নেওয়ার ব্যাপারও থাকবে। যা খবর, তাতে ম্যাচের দিন সকালে প্রথম এগারো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন কিবু। শোনা গেল, কোচ ফুটবলারদের একটা কথা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন-কেউ যেন বাড়তি চাপ না নেয়। কোচ নাকি বলেন, নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা যদি সবাই খেলতে পারে, তাহলে জিততে কোনওরকম সমস্যা হবে না। মোহনবাগান চাইছে শুরুতেই প্রেসিং ফুটবল খেলতে। জেতার ব্যাপার কোচ প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.