সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হয় তিনি, নয় নেইমার। প্যারিস সাঁ জাঁ-কে (Paris Saint Germain) তিনটি শর্ত দিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপে (Kylian Mbappe)। তিনটি শর্তের মধ্যে নেইমারকে (Neymar) ক্লাব থেকে সরানোই ছিল প্রথম শর্ত। নেইমারকে নিয়ে প্যারিস সাঁ জাঁ কী করবে, তা সময় বলবে। তবে স্ত্রাসবুর্গের বিরুদ্ধে নেইমার লাল কার্ড দেখলেন। আর কিলিয়ান এমবাপে গোল করে ম্যাচ জেতালেন। দুই নায়ক দুই মেরুতে।
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে দৌড় শেষ হয়ে যায় ব্রাজিলের। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে নেইমার এগিয়ে দিয়েছিলেন ব্রাজিলকে। কিন্তু হঠাৎ করেই সব বদলে যায়। এক্সট্রা টাইমের খেলা শেষ হতে তখন মিনিট তিনেক বাকি। সেই সময়ে সমতা ফেরায় ক্রোয়েশিয়া। তার পরে টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়া ম্যাচ জিতে নেয়। বিশ্বকাপ এখন অতীত। ক্লাব পিএসজি-র হয়ে নেমে নেইমার ১৪ মিনিটে মারকুইনহোসকে দিয়ে গোল করালেন নেইমার। স্ত্রাসবুর্গের ডিফেন্ডারদের পরীক্ষা নিলেন। কিন্তু সেই নেইমারই লাল কার্ড দেখলেন খেলার দ্বিতীয়ার্ধে।
খেলার ৬১ মিনিটে স্ত্রাসবুর্গের ডিফেন্ডার আদ্রিয়ান থমাসনকে আঘাত করে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন নেইমার। তার পরমুহূর্তেই বক্সে ঢোকার সময়ে ব্রাজিলীয় তারকাকে বাধা দেওয়া হয়। পেনাল্টি আদায় করার জন্য নেইমারের প্লে অ্যাক্টিং নিয়ে বহু চর্চা হয়। এক্ষেত্রেও নেইমার ডাইভ দেন। কিন্তু রেফারির নজর এড়ায়নি। দ্বিতীয় বার হলুদ কার্ড দেখানো হয় নেইমারকে। দশ জনে নেমে যায় পিএসজি। যদিও নেইমার বেরিয়ে গেলেও জিততে সমস্যা হয়নি সাঁ জাঁ-র। লাল কার্ড দেখার পর রেফারির সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন নেইমার। পিএসজি-র হয়ে পঞ্চম বার লাল কার্ড দেখলেন তিনি।
পিএসজিকে প্রথমে এগিয়ে দেন মারকুইনহোস। তাঁর আত্মঘাতী গোলেই আবার স্ত্রাসবুর্গ সমতায় ফেরে। এর আগে গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন এমবাপে। বিরতির পরও গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন ফরাসি তারকা। ৯৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন এমবাপে। তাঁকে পেনাল্টি বক্সে ফাউল করা হয়েছিল। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি এমবাপে। পিএসজি ২-১ গোলে ম্যাচ জেতে স্ত্রাসবুর্গের বিরুদ্ধে।
ক্লাবের হয়ে খেলতে নেমেও এমবাপেই নায়ক। লাল কার্ড দেখে নেইমার ফের চর্চায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.