স্টাফ রিপোর্টার: কোয়েসের সঙ্গে বিচ্ছেদের আগেই সেলটিক এফসির প্রতিনিধিরা ইস্টবেঙ্গল ক্লাব পরিদর্শন করে গেলেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা কিছু না জানালেও শরীরী ভাষায় বোঝা গিয়েছে, তাঁরা ক্লাবের পরিকাঠামো দেখে দারুণ খুশি। তবে, স্কটিশ ক্লাবের প্রতিনিধিরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এখনই কিছু চূড়ান্ত হয়ে যাচ্ছে না।
একদিকে ক্লাবের শতবর্ষ উদযাপন চলছে। অন্যদিকে নতুন ইনভেস্টর খোঁজা শুরু হয়ে গিয়েছে। যেহেতু কোয়েস কর্তারা আর চাইছেন না ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে থাকতে। গত কয়েকমাস আগে কোয়েস কর্তারা তা স্পষ্ট জানিয়েও দিয়েছেন। ফলে নতুন ইনভেস্টর খোঁজা ছাড়া ক্লাবের সামনে অন্য কোনও উপায় নেই। তারই ফলস্বরূপ, শনিবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাব পরিদর্শনে এসেছিলেন সেল্টিক ক্লাবের কমার্শিয়াল ডিরেক্টর আদ্রিয়ান ফেলেব।
বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ তিনি ক্লাব টেন্টে ঢোকেন। আগে পুরো ক্লাব টেন্ট ঘুরে দেখেন। টেন্টের মধ্যে ছিল আইএফএ শিল্ড। পেল্লাই সাইজের শিল্ড দেখে অবাক বনে যান। পরে ক্লাব সভাপতি প্রণব দাশগুপ্ত, সচিব কল্যাণ মজুমদার, কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম কর্তা দেবব্রত সরকার-সহ একাধিক কর্তার সঙ্গে বৈঠকে বসেন আদ্রিয়ান ফেলেব।
প্রায় ঘণ্টা আড়াই দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনার পর ফেলেব জানিয়ে দেন, তাঁরা বেশ কিছু ক্লাবের সঙ্গে জোট বাঁধতে চলেছেন। “আমরা বেশ কিছু ক্লাবের ইতিহাস, ব্যাপ্তি, সব কিছু খতিয়ে দেখছি। তবে এখনই ইস্টবেঙ্গলকে অর্থ লগ্নি করব তার কোনও মানে নেই। সব কিছু বিশদে জানার পর তারপর আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।” ক্লাবে যে নৈশালোকের ব্যবস্থা রয়েছে তাও তাঁকে দেখানো হয়। ডার্বি ইস্টবেঙ্গল মাঠে হয় কি না তা নিয়ে খোঁজখবর নেন। তবে ক্লাবের প্রধান দেবব্রত সরকার এখনই উচ্ছ্বসিত হতে নারাজ। তাঁর মতে, “এমন অনেক ইনভেস্টর আগামীদিনেও আসবে। তবে ক্লাবের চাহিদা যারা পূরণ করবে তাদের নিয়ে ভাববে ক্লাব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.