স্টাফ রিপোর্টার: ইস্টবেঙ্গলের বিশেষ সভায় যে মুহূর্তে পাশ হয়ে গেল ক্লাবের যাবতীয় খেলাধুলোর সত্ত্ব শ্রী সিমেন্ট ইস্টবেঙ্গল ফাউন্ডেশন নামক নতুন কোম্পানির কাছে যাবে, সেই মুহূর্তে শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ ঠিক করে ফেলল দলের সহকারি কোচের নাম, রেনেডি সিং। শোনা যাচ্ছিল, বুধবারই সরকারি ঘোষণা হয়ে যাবে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের থেকে যেহেতু সরকারিভাবে কাগজপত্র আসেনি, তাই এদিনও রেনেডিকে অফিসিয়ালি নিয়োগপত্র দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে সরকারিভাবে ক্লাবের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আরও খানিকটা অপেক্ষা করতে হবে প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ককে। একইসঙ্গে ঝুলে রইল দলের নয়া কোচ ঘোষণার বিষয়টি।
মঙ্গলবার রাতে দু’জন ব্রিটিশ কোচের সঙ্গে আরেকজন স্প্যানিশ কোচের ইন্টারভিউ নেন নতুন কোম্পানির কর্তারা। তাই চিফ কোচের নামও বুধবারই জানানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সরকারি নথিপত্র ক্লাব হাতে না পাওয়ায় সমর্থকদের অপেক্ষা আরও খানিকটা বাড়ল।
গতকাল ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) সভায় মূল আলোচনার বিষয়ই ছিল, শ্রী সিমেন্ট ইস্টবেঙ্গল ফাউন্ডেশন নামক নতুন কোম্পানিকে ক্লাবের যাবতীয় খেলাধুলোর স্বত্ত্ব প্রদান করা হবে কি না। এর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল, শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে চুক্তির ফলে ১৮ নম্বর পয়েন্ট অনুযায়ী ক্লাবের সবরকম সাব কমিটি এবং বিভাগীয় সচিবদের ক্ষমতা খর্ব হয়ে কোম্পানির ডিরেক্টরদের হাতেই মূল ক্ষমতা চলে যাবে কি না। স্বাভাবিকভাবেই এই বিষয়ে আলাচনা উঠলে সভায় বেশ কিছু সদস্য ১৮ নম্বর পয়েন্ট নিয়ে আপত্তি তোলেন। সদস্যদের তরফে আপত্তি তোলা হয় ৫, ১২ ডি, ১৩ নম্বর পয়েন্ট নিয়েও। যদিও সভায় তা পাশ হতে সমস্যা হয়নি। পরে ক্লাবের অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলছিলেন, “যে যে স্পোর্টিং রাইটসগুলো নতুন কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, সেই সেই বিভাগীয় সচিবদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা খর্ব করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এদিন সদস্যরা যা বললেন তার এই অর্থ দাঁড়ায়, বিভাগীয় সচিবরা তাঁর বিভাগ নিয়ে ক্লাবের কার্যকরী কমিটির কাছে বক্তব্য রাখতেই পারেন। আমাদের তরফ থেকে যিনি কোম্পানির বোর্ডে থাকবেন, ক্লাবের কার্যকরী কমিটির সেই বক্তব্য তিনি বোর্ডে তুলে ধরবেন। এবার কোম্পানির বোর্ড সেই প্রস্তাব মানবে কি না, সেটা তাদের ব্যাপার।’’
ক্লাবের যাবতীয় খেলাধুলোর স্বত্ত্ব নতুন কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কোম্পানির সঙ্গে আমাদের এরকমই চুক্তি হয়েছে। তবে ওরা যে চুক্তির কাগজপত্র পাঠিয়েছে, তা আমাদের আইনজ্ঞরা খতিয়ে দেখছেন। সবকিছু খতিয়ে দেখার পরেই কোম্পানির কাছে যাবতীয় কাগজপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.