রয় কৃষ্ণ। ফাইল চিত্র।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএসএলে (ISL) তাঁর নামের পাশে লেখা রয়েছে ৫৪টি গোল। গোল করার পাশাপাশি গোল করাতেও তিনি দক্ষ। সেই রয় কৃষ্ণ (Roy Krishna) সবালীল ভাবে হিন্দিতে কথা বলতে পারেন। ওড়িশায় তাঁর সতীর্থদের সঙ্গে ঝরঝরে হিন্দিতে কথোপকথন চালিয়ে যান।
এদেশের জাতীয় সঙ্গীতের সময়েও তাঁর ঠোঁট নড়তে দেখা যায়। হৃদয় দিয়ে প্রতিটি শব্দ উচ্চারণ করেন ফিজির জাতীয় দলের এই তারকা। এক সাক্ষাৎকারে ওড়িশার তারকা ফুটবলার রয় কৃষ্ণকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”ভারতের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বড় কোনও বিষয় নয়। সরাসরি আমার হৃদয় থেকে আসে। আমি এদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে চাই।”
একসময়ে রয় কৃষ্ণর পূর্বপুরুষরা এদেশে থাকতেন। ব্রিটিশ শাসনের সময়ে তাঁরা এদেশে ছেড়ে ফিজি চলে যান। সেই প্রসঙ্গে কৃষ্ণ বলছেন, ”১৪০ বছর আগে আমার পূর্বপুরুষরা ভারতে চলে এসেছিলেন। ব্রিটিশ শাসনের সময়ে তাঁরা ফিজিতে চলে যান।”
এদেশের সঙ্গে আত্মস্থ হয়ে গিয়েছেন রয় কৃষ্ণ। তিনি হিন্দিতে কথা বলেন। সমর্থকদের কাছেও তিনি খুবই জনপ্রিয়। গোলমেশিন কৃষ্ণ বলছেন, ”ছোটবেলা থেকে হিন্দি শিখেছি। স্কুলে হিন্দি পড়ানো হত। ভাষাটা যখন জানি, প্রতিটি শব্দ বুঝতে পারি, তখন গান গাইব না কেন? ভারতের মাটিতে এক সন্তান জন্মের পরে এই দেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি।”
মোহনবাগান কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের হাত ধরে এ লিগ থেকে আইএসএলে খেলতে এসেছিলেন ফিজির জাতীয় দলের ফুটবলার। বিমানবন্দরে নামার পরে তাঁকে ঘিরে সমর্থকরা যে উন্মাদনা দেখিয়েছিলেন, তা দেখে অভিভূত হয়ে গিয়েছিলেন কৃষ্ণ। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করে কৃষ্ণ বলছেন, ”কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পরে সমর্থকরা আমরা নাম ধরে চিৎকার করছিলেন। মনে হচ্ছিল আমি দেশের মাটিতেই রয়েছি।”
কৃষ্ণকে নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে তিনি অস্ট্রেলিয়া ফিরে যাচ্ছেন। কৃষ্ণ বলছেন, ”আমি মনে করি আমার মধ্যে এখনও কোয়ালিটি রয়েছে, গতি রয়েছে। কিন্তু আমি এই দেশেই খেলতে চাই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.