সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মরশুমেও তাঁকে দেখা গিয়েছে মোহনবাগানের জার্সিতে। এ মরশুমে রাখেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। আপাতত সোনি নর্ডি খেলছেন আজারবাইজানের ক্লাব জিরা এফকে-তে। কিন্তু তাতে কী! আজারবাইজানের বাকুতে থাকলেও তাঁর মন পড়ে রয়েছে কলকাতায়। আরও ভাল করে বলতে গেলে মোহনবাগানে। এখনও মোহনবাগানের সঙ্গে কোনওরকম অন্যায় হলে তিনি সহ্য করতে পারেন না। সেকথা আরও একবার বোঝা গেল ডুরান্ড ফাইনালের পর তাঁর প্রতিক্রিয়া দেখে। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনিও।
ডুরান্ড ফাইনালে হারের পর আর পাঁচজন মোহনবাগান সমর্থকের মতোই ফেসবুক ওয়ালে রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করে একটি পোস্ট করেন। ফাইনালের সেই বিতর্কিত মুহূর্তের ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, “পরিষ্কার পেনাল্টি ছিল। এটা অন্যায়।” সবুজ-মেরুন সমর্থকদের একাংশ বলছেন, সোনির এই পোস্টেই বোঝা যায়, অন্য সবুজ মেরুন সমর্থকদের মতো, তিনিও ডুরান্ডের ফাইনালের হারের জন্য ব্যথিত।
সোনি নর্ডি একা নন, ফাইনালের রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন মোহন সমর্থকদের সিংহভাগই। ম্যাচ শেষের সাংবাদিক বৈঠকে খোদ কোচ ভিকুনাও প্রশ্ন তুলেছেন শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি না পাওয়া নিয়ে। খেলার শেষ মুহূর্তে স্কোর যখন ২-১, সেসময় বক্সের মধ্যে সুহেরের শট গিয়ে গোকুলামের ইরশাদের হাতে লাগে। পরিষ্কার হাতে বলটি লাগতে দেখা গেলেও পেনাল্টি দেওয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গে ভিকুনার দাবি, “সুহেরের শটটা একদম নিশ্চিত পেনাল্টি ছিল। ওটা হ্যান্ডবল। লাইন্সম্যানের চোখে না’ই পড়তে পারে। তাতেও রেফারি বা ফোর্থ অফিশিয়াল কেন স্পট করল না? আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না।” শুধু পেনাল্টি নয়, গোকুলামের প্রথম গোলের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মোহন কোচ। মার্কাস জোসেফের পাস থেকে পেনাল্টি আদায় করেন হেনরি কিসেকা। আর কোচের দাবি সেই পাস রিসিভ করার সময় সামান্য হলেও অফসাইড ছিলেন মোহনবাগানের প্রাক্তন স্ট্রাইকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.