আমরা কারা? মোহনবাগান
জিতল কারা? মোহনবাগান
ভারতসেরা? মোহনবাগান
‘দিমিগড’-এর শট ওডিশার জালে জড়িয়ে যেতেই মোহনজনতার গগনভেদী চিৎকার বুঝিয়ে দিল তাদের প্রিয় দল আরও একবার ভারতসেরা। এই নিয়ে পরপর দু’বার আইএসএল শিল্ড জয় মোহনবাগানের। এই কৃতিত্ব ভারতীয় ফুটবলে আর কোনও দলের নেই। দু’ম্যাচ বাকি থাকতেই ওডিশা এফসি-কে হারিয়ে বাগানে বসন্ত এনে দিয়েছেন মেরিনার্সরা। মোহনবাগানের এই সাফল্যে গর্বিত তাদের এক দশকের সঙ্গী, টিএমটি বার ব্র্যান্ড এসআরএমবি।
সমর্থকদের উজ্জীবিত করতে সারাবছর এসআরএমবি একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে যারা শুধুমাত্র সবুজ-মেরুনের টানে বছরের পর বছর মাঠে আসেন, প্রতিনিয়ত, তাঁদের কুর্নিশ জানিয়ে কিছু অভিনব ভিডিও বানিয়েছে এসআরএমবি। বাপি মাঝি, যিনি নিজেকে সমর্পণ করেছেন মোহনবাগানে, ক্যান্সার তাকে হারাবে কীভাবে? পোলিও আক্রান্ত কাশীনাথ, সবুজ-মেরুন নামেই তিনি খুঁজে পান অফুরান প্রাণশক্তি। মায়াপুরের শিক্ষক ইন্দ্রনীল আবার প্রিয় ক্লাবের জয়ের আনন্দ ভাগ করে নেন তাঁর বিদ্যালয়ের কচিকাঁচাদের সাথে। আর জয় সরকার-যাঁর ‘কলজের’ অর্ধেকজুড়ে সঙ্গীত, বাকি অর্ধভাগে তিনি ধারণ করেন মোহনবাগান। এই ভিডিওগুলি সবুজ-মেরুন আবেগের এক ঐতিহাসিক দলিল হিসাবে থেকে যাবে আগামী প্রজন্মের কাছে।
কোনও দল অপ্রতিরোধ্য তখনই হয়ে ওঠে, যখন তাদের দলগত সংহতিতে কোনও ফাঁক থাকে না। মোহনবাগানে এসে বিদেশি ও ভিনরাজ্যের প্লেয়াররা কীভাবে বাংলার সংস্কৃতির সাথে একাত্ম হয়ে উঠেছেন তারও নমুনা পাওয়া গেছে এসআরএমবির তরফে বানানো দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা ভিডিওতে। বিশাল-শুভাশিস-দিমির খুনসুটি সমর্থকদের মনে জায়গা করে নিতে বেশি সময় নেয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
যেকোনও চ্যাম্পিয়ন দলের আরেকটি মূল অস্ত্র তাদের মানসিক শক্তি। যে দল ভালো চাপ সামলায়, ভাগ্যদেবতা তার প্রতি প্রসন্ন হন। আর কে না জানে, ভারতীয় ফুটবলে সবথেকে বড় ম্যাচ মানেই ঘটি-বাঙালের চিরাচারিত দ্বৈরথ। সেই স্নায়ুর যুদ্ধের আগে মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে আসে প্লেয়ারদের ভিডিওবার্তা। সৌজন্যে: এসআরএমবি।
‘ঘুমন্ত দৈত্য’ ভারতীয় ফুটবলকে জাগিয়ে তুলতে দরকার সঠিক পরিকল্পনা। আর তার জন্য প্রয়োজন সঠিক লগ্নিকারীর, যারা প্যাশন ও প্ল্যানিংয়ের সংমিশ্রণে গড়ে তুলবে জয়ের ভিত। শতাব্দীপ্রাচীন মোহনবাগানের আবেগ যথাযথভাবে উপলব্ধি করেছে সাত দশক পেরোনো টিএমটি বার ব্র্যান্ড এসআরএমবি। দুই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের এই যুগলবন্দি আগামীতেও আরও অনেক স্বপ্নপূরণের রাত নিয়ে আসুক, পথ দেখাক বাকিদেরও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.