ফাইল ছবি
স্টাফ রিপোর্টার: আইএফএ এবার ঘরোয়া লিগে স্বচ্ছতা আনার জন্য স্পোর্টস র্যাডারকে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিল। বৃহস্পতিবার ছিল ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভা। সেই সভায় ঠিক হয়, বাংলার ফুটবলে স্বচ্ছতা বজায় রাখা খুবই জরুরি। তাই আন্তর্জাতিক ক্রীড়া অনুসন্ধানকারী সংস্থা স্পোর্টস র্যাডারের হাতে দায়িত্ব দিলে ভাল হয়। আইএফএ তাই ঠিক করেছে, আগামী বছর থেকে ঘরোয়া ফুটবলে স্পোর্টস র্যাডার পুরো বিষয়টা দেখভাল করবে।
এতদিন ঘরোয়া ফুটবলে ক্যান্সার হল গট-আপ। বেশ কিছু দল নিজেদের ডিভিশনে টিকে থাকার জন্য নিজেদের মধ্যে টেবিলে খেলে নেয়। পরে মাঠে যা খেলে তা স্রেফ লোক দেখানো। এই বিষয়টা এখন ঘরোয়া ফুটবলে ‘ওপেন সিক্রেট’ হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ,সবাই জানে কিন্তু সকলেই না জানার ভান করে থাকে। আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় ঠিক করেছেন, ঘরোয়া ফুটবলে ঘুঘুর বাসা ভাঙ্গবেন। তাই স্পোর্টস র্যাডারের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাকে নিয়ে এসে কাজে লাগাতে চাইছেন।
এদিন ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় কিছু ফুটবলারের সম্পর্কে ওঠা অভিযোগ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে শুভম রায়, রাকেশ মাসি, দীপক মন্ডলের মতো সিনিয়রদের নিয়ে। এঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বর্তমান বিএসএস-এ খেলা সুরজ মন্ডল নাকি এঁদের ম্যাচ ছাড়ার জন্য টাকা দিতে চেয়েছিলেন। সেই টাকার পরিমাণ প্রায় এক লাখ টাকা। শুভম স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ম্যাচ ছাড়লে এক লাখ টাকা দিতে চেয়েছিলেন সুরজ মন্ডল। তিনি যথারীতি তাঁর ক্লাবের লোকজনকে আগেই জানিয়ে ছিলেন। এমন কী আইএফএ-কেও একথা জানিয়ে দিয়েছেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে সুরজ মন্ডলকে নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন বাংলার কর্তারা। সেখান ফোন করার বিষয়টা স্বীকার করে নেন সুরজ। তবে তিনি জানিয়ে দেন, পুরো বিষয়টা ছিল ঠাট্টার। “হ্যাঁ, আমি শুভমকে ফোন করে বলেছিলাম ম্যাচ ছাড়লে এক লাখ টাকা পাবে। কিন্তু আমার ঠাট্টা করে বলা বিষয়টা যে এভাবে সিরিয়াসলি নিয়ে নেবে ভাবিনি।” আইএফএ-র কর্তাব্যক্তিদের সামনে একথা বলেন সুরজ। তবে আইএফএ বিষয়টা হাল্কা ভাবে নিচ্ছে না। তারা ঠিক করেছে, স্পোর্টস র্যাডারকে দিয়ে পুরো বিষয়টা অনুসন্ধান চালাবে। তবে যতদিন না তদন্ত করে বিষয়টা খোলসা করছে স্পোর্টস র্যাডার ততদিন সুরজ খেলতে পারবেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.